মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

জাটকা শিকারের উৎসব

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

জাটকা শিকারের উৎসব

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব। স্থানীয় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জোট বেঁধে কিছু জেলে দ্রুতগামী ইঞ্জিনচালিত নৌকার সাহায্যে রুপালি ইলিশ ধ্বংস করছেন। এ কাজে হরহামেসা ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। এবার জাটকার মৌসুমে প্রচুর জাটকা ধরার কারণে ইলিশ উৎপাদনে ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। ফলে চলতি বছর সরকারের কাক্সিক্ষত ইলিশ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পাশর্^বর্তী মেঘনা নদীর চরভৈরবী, জালিয়ারচর, মেঘনা বাজার, বাবুর চর, হাজিমারা, কানিবগা, চরঘাসিয়া, চরলক্ষ্মী, পুরান বেড়ি, চান্দার খাল এলাকায় ব্যাপক হারে জাটকা নিধন চলছে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাটের নদী এলাকায় দেখা গেছে জাটকা বিক্রির ধুম।

মৎস্য বিভাগ আর কোস্টগার্ডের দায়সারা কাজকেই দোষারোপ করছেন সচেতন মহল। অভিযোগ রয়েছে কোস্টগার্ডের দায়সারা কাজের কারণে চরভৈরবীর রুহুল আমিন মেম্বার ও তাঁর ছেলে বিল্লাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে একটি সিন্ডিকেট মাছ শিকারে কাজ করছে। এ ছাড়া নদীতে মাছ শিকারের পর একটি ভাগ বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয় বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। এ ব্যাপারে এক দায়িত্বশীল সূত্র জানায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন নদীতে মাছ শিকারের দায়ে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড এবং উভয় দন্ড দেওয়ার বিধান আছে। চলতি পথে কাউকে মাছ ধরতে দেখা গেলে শুধু তাদের জন্যই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন জাটকা সংরক্ষণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কার নৌকা কখন মাছ শিকার করতে যায়, সেটা আমরা জানি না। অভিযান চালিয়ে যাকেই নদীতে দেখতে পাই সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে আটক করা হয়। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে অনেক নৌকা, জাটকা, জেলে এবং কয়েক লাখ মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর