বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্যাংকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ব্যাংকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে যখন নিষেধাজ্ঞা চলছে তখন মেহেরপুরের বিভিন্ন ব্যাংকের চিত্রটাই উল্টো। কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব বা সুরক্ষার তোয়াক্কা না করে গ্রাহকদের ঠাসাঠাসিতে একাকার এসব ব্যাংক। তবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি, লেনদেনের সময় কমিয়ে দেওয়ার ফলে এ ভিড়ের কারণ। সকাল ১১টায় সরেজমিন মেহেরপুর সোনালী ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ে দেখা যায় গ্রাহক সমাগম। যেন তিলধারণের জায়গা নেই। ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই। ব্যাংকের বাইরেও প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কয়েক শ গ্রাহক ব্যাংকের ভিতর থেকে মেইন গেট  পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব না মেনে গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। এদের কেউ কেউ মাস্ক ব্যবহার করলেও অধিকাংশ গ্রাহককে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চরম বিপর্যয় আসতে পারে। ব্যাংকে সেবা নিতে আসা আতিকুর রহমান বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই সীমিত সময়ে সকলে  তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ব্যাপক ভিড় বাড়ছে। তাছাড়া ব্যাংকে দায়িত্বরত কমর্মকর্তাদের কাজের গতিও ধীর, তাই একজনের কাজ করতেই অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। অপর গ্রাহক আমিরুল ইসলাম বলেন, বাইরে ঠেলাঠেলিতে অপেক্ষমাণ গ্রাহকদের নেই সুরক্ষা ব্যবস্থা।

কে আগে সেবা নেবেন এ নিয়ে প্রতিযোগিতা লেগে গেছে গ্রাহকদের মধ্যে। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গ্রাহকরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। মেহেরপুর সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার নাজমুল হক বলেন, আমরা সরকার থেকে নির্দেশনা পেয়েছি সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। খোলা থাকার সময় কমিয়ে দিলে যে জনসমাগম কম হবে এমন তো না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা সবদিক থেকে চেষ্টা করেও পারছি না। তাই এত উপচে পড়া ভিড় জমে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর