বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মাঠজুড়ে হলদে হাসি

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

মাঠজুড়ে হলদে হাসি

কুমিল্লায় সূর্যমুখীর মাঠে দুলছে লাখো সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখীর ভালো ফলনে কৃষকের মুখজুড়ে এখন হলদে হাসি। এই নতুন ফসল থেকে ভালো লাভ পাবেন বলে তাদের আশা। সূর্যমুখীর এমন বর্ণিল দৃশ্য চোখে পড়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ, দেবিদ্বার, লালমাই, তিতাস, হোমনা, চান্দিনাসহ বিভিন্ন উপজেলায়। এদিকে কৃষককে এ সময়ে সতর্ক থাকতে হয়। অতি উৎসাহী লোকজন জমিতে প্রবেশ করে ছবি তুলতে গিয়ে ফসল নষ্ট করে। কেউ ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম উত্তর রামপুর। গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল করিম। ১১০ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে সার ও বীজ সহযোগিতা পেয়েছেন। ভালো ফলন হয়েছে। এখন সেই ফসল ঘরে তোলার পালা। সূর্যমুখী চাষের কারণে এলাকায় তার পরিচিত বেড়েছে। আশা করছেন ফসল থেকে ভালো লাভ পাবেন। স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, সূর্যমুখী থেকে তেল, পাখি ও গবাদি পশুর খাদ্য এবং রান্নার জ্বালানি পাওয়া যায়।

এখানে কয়েকজন কৃষক সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তাদের দেখে অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন। আশা করছেন সামনের মৌসুমে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হবে। দেবিদ্বারের গুণাইঘরে সূর্যমুখীর জমি  দেখতে আসা দর্শনার্থী জি এম ফারুক বললেন, আমাদের কাছাকাছি বিনোদনের বড় কোনো স্থান নেই। সূর্যমুখীর জমিকে ঘিরে চিত্তবিনোদনের কিছুটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় চাষি আবু তাহের বলেন, গুণাইঘর গ্রামে তার বাড়ি। তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি পাহারায় থাকেন। সারা দিন সূর্যমুখী ফসল দেখতে এবং ছবি তুলতে শত শত মানুষ এখানে ভিড় করেন।

দিনভর পাহারায় থাকলেও আনন্দও লাগে। কারণ তার এ সূর্যমুখী খেত দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন। এখানে চটপটি, বাদাম, চাসহ নানা খাবারের পসরা নিয়ে বসেন হকাররা। জমি এখন বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর