এক দিন পর পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বৈসাবি উৎসব। যদিও এবার ঘটা করে পালন করা হচ্ছে না এ উৎসব। তবুও হাটবাজারে ভিড় করছেন নানা বয়সের নারী-পুরুষ। অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা করছে না কেউ। এদিকে রাঙামাটিতে দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসন। বন্ধ রয়েছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে দূর-পাল্লার সব ধরনের যান। তবে শহরে চলছে অটোরিকশা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট খোলা। মানুষও শপিং মলমুখী। তারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। পরছেন না মাস্ক। গতকাল ছিল রাঙামাটির বনরূপা বাজারে সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড়। কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গাদাগাদি করে বাজার-সদায় কিনতে ব্যস্ত ছিল মানুষ। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা। একই সঙ্গে রাঙামাটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানও অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি বাড়িয়েছে। সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে হলে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। পরিহার করতে হবে জনসমাগম। যতটা সময় সম্ভব ঘরে থাকতে হবে। কারণ মানুষের ভিড়ে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়।