বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

পানির জন্য হাহাকার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

পানির জন্য হাহাকার

কুষ্টিয়ার পৌর এলাকায় চলছে পানির জন্য হাহাকার। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই তীব্র পানি সংকটে পড়েছেন পৌর শহরের হাজার হাজার মানুষ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ ও পাম্পে পানি উঠছে না। পুরনো এলাকার মানুষ পৌরসভার পাইপ লাইনে সরবরাহ পানি কিছুটা পেলেও বর্ধিত এলাকায় পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। এসব এলাকায় পাইপ লাইন না থাকায় নিজস্ব নলকূপ ও পাম্পের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বৃহৎ এ পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকায় এমনিতেই শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট থাকে। এখন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে গড়াই নদীর স্বল্প পানি প্রবাহ। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীতে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় শহরে পানি সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে এসব এলাকার প্রায় সব নলকূপই হয়ে গেছে অকেজো। যেগুলো কাজ করছে সেগুলোতে পানি উঠছে অতি সামান্য। পাম্পেও পানি উঠছে না। বার বার পানি তোলার চেষ্টা করায় অনেকের পাম্প নষ্ট হয়ে গেছে। এতে খাবার পানির পাশাপাশি গোসল গৃহস্থলির কাজের পানি পেতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পৌরসভার পুরনো এলাকায় কর্তৃপক্ষ তিন বেলা পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করছে। এতে সেসব এলাকার মানুষ কিছুটা হলেও পানি পাচ্ছে। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বর্ধিত এলাকার সব জায়গায় এখনো পাইপ লাইন বসাতে পারেনি। এ কারণে পৌরসভার বর্ধিত অংশের অধিকাংশ মানুষ পৌরসভার পানি পাচ্ছে না। তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে নিজস্ব নলকূপ বা পাম্পের ওপর। কিন্তু পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এসব নলকূপ ও পাম্পে পানি উঠছে না। বার বার পাম্প চালিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করায় অনেকের পাম্প জ্বলে গেছে।  শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকার বাসিন্দা কুলসুম বিবি বলেন, পাম্প চালিয়ে পানি উঠছে না। পৌরসভার সাপ্লাই পানিও আসে না। এতে ঘর-গৃহস্থালির কাজ-কর্ম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একই এলাকার বাসিন্দা আমিনুর রহমান বলেন, কোনো কোনো দিন শৌচকর্মের পানিটুকুও থাকে না।

এলাকার দুয়েকজনের বাড়িতে সাবমার্সেবল পাম্প আছে সেসব বাড়ি থেকে কষ্ট করে পানি টেনে এনে কোনো মতে জরুরি কাজ করছেন তারা। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, গড়াইয়ে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি পানির স্তর বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ ফিট নেমে যাওয়ায় হস্ত চালিত নলকূপ ও পাম্পে উঠছে না পানি। তবে শহরের সব এলাকায় পাইপ লাইন বসানোর পর এ সংকট কেটে যাবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী  ইব্রাহীম মো. তৈমুর পানির স্তর এভাবে কমে যাওয়ার পেছনে যত্রতত্র গভীর নলকূপ পাম্পের ব্যবহারকে দায়ী করছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর