শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

যাত্রী পারাপারে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

যাত্রী পারাপারে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

মোংলায় খেয়া ট্রলারে গাদাগাদি করে তোলা হচ্ছে যাত্রী

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাইনের দ্বিতীয় দিনেও বাগেরহাটের মোংলায় নদী পারাপারে ট্রলারের মাঝি ও যাত্রীরা মানছে না সরকারি কোনো নির্দেশনা। মোংলা পোর্ট পৌরসভার মধ্যে মোংলা নদীতে যন্ত্রচালিত খেয়া ট্রলারগুলো সামাজিক দূরত্ব মেনে শত শত যাত্রী নিয়ে পারাপার করছে। লকডাউনের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য সরকার আহ্বান জানালেও মোংলা নদীর খেঁয়াট্রলার মাঝি ও যাত্রীরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাশের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের অধীন সুন্দরবন ওয়াপদা পারাপার সমিতি ও ব্যবসায়ী পারাপার সমিতির ১৫০ জন সদস্য ১৮টি খেঁয়া ট্রলারে পৌর শহর ও বন্দরসহ শিল্পাঞ্চলের কয়েক হাজার যাত্রী প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নদী পারাপার করে থাকেন। এ সব যাত্রীর কাছ থেকে দিনে মাঝিরা জনপ্রতি ৩ টাকা আর রাতে ৫ টাকা করে ভাড়া নিয়ে থাকেন। লকডাউনের মধ্যেও ট্রলারের মাঝিরা ১৫ জনের স্থলে ৩০ জনের অধিক যাত্রী পারাপার করছেন। চালকদের পাশাপাশি যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, দুদিন আগে খেয়া নৌকায় কত জন যাত্রী বহন করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি ট্রলারের মাঝিদের ১৫ জন করে যাত্রী পারাপার করতে বলা হয়েছিল। কেউ সে সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুন্দরবন ওয়াপদা পারাপার সমিতির সভাপতি কামাল গাজী বলেন, খেয়া ট্রলারের চালকরা সবাই বাড়তি যাত্রী বোঝাই করেন না। ভিড়ের সময় কেউ জোর করে ট্রলারে উঠে গেলে কিছুই করার থাকে না। কেউ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাসহ জরিমানা করা হয়ে থাকে।

 

সর্বশেষ খবর