শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মসলায় চেতনানাশক মিশিয়ে চুরি করত তারা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

মসলায় চেতনানাশক মিশিয়ে চুরি করত তারা

স্বর্ণালঙ্কার কিংবা টাকা পয়সা আছে প্রথমে এমন বাড়ি চিহ্নিত করত। এরপর কৌশলে রান্নাঘরে গিয়ে লবণ অথবা মসলায় মিশিয়ে রাখতো চেতনানাশক।  চেতনানাশক মিশ্রিত এসব মসলা দিয়ে রান্নার পর  খেয়ে দেয়ে দীর্ঘ সময় অচেতন থাকতো বাড়ির লোকজন। সেই সুযোগে ওঁৎ পেতে থাকা চোরের দল বাড়িতে ঢুকে নির্বিঘ্নে চুরি চালিয়ে যেত।  ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জে এমনই অভিনব কায়দায় চুরি করা একদল চোরের সন্ধান পেয়েছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরা হচ্ছে- সবুজ মিয়া ওরফে আইলশা, রফিক মিয়া এবং স্বর্ণকার শাহিন মিয়া। ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। এ সময় পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েও আবেদন জানানো হয়। এর আগে গতকাল সবুজ ও রফিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ হাজার টাকা ও চোরাই স্বর্ণসহ শাহিন মিয়াকেও গ্রেফতরা করা হয়। ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১০ জানুয়ারি রাতে ঈশ^রগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের চানু মেম্বারের বাড়ির লোকজন সন্ধ্যা নামতেই অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর রাত ১২টার দিকে হুঁশ ফিরে দেখেন দরজা খোলা, আলমারি-ড্রয়ারের তালা ভাঙা। তিনটি কক্ষ থেকে লুটপাট করা হয়েছে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার। ওই রাতেই একই কায়দায় পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ মাইজহাটি গ্রামের রোকন উদ্দিন ভূঁইয়ার বাড়িতে ও মগটুলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের নেসার উদ্দিনের বাড়িতেও চুরি হয়। পরদিনই বিল খেরুয়া গ্রামে স্থানীয় এক ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল খায়ের ও এক কৃষক গোলাম মহিউদ্দিনের বাড়িতেও অভিনব এই পন্থায় চুরি করা হয়। দুইদিন ইস্তফা দিয়ে ১৪ জানুয়ারি মাইজহাটি এলাকার ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবুলের বাড়ি ও আক্রাম হোসেন নামের এক স্কুলশিক্ষকের পরিবারকেও অচেতন করে লুটপাট করা হয় বলে জানান ওসি শাহ কামাল আকন্দ। ঈশ্বরগঞ্জ থানায় গত ১৬ জানুয়ারি চুরির মামলা করা হলে সেটির তদন্তভার আসে ডিবির কাছে। লুটপাট হওয়া প্রতিটি বাড়ির পাশেই ফেলে যাওয়া হতো লবণ, হলুদ, মরিচ ও ধনিয়ার গুঁড়া।

সর্বশেষ খবর