শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সাড়া ফেলেছে সেলুন পাঠাগার

নীলফামারী প্রতিনিধি

সাড়া ফেলেছে সেলুন পাঠাগার

চুল বা দাড়ি কাটাতে গেলে অধিকাংশ সময় সেলুনে থাকে লম্বা সিরিয়াল। এ সময়টা কারও কাটে ফোনে বা কারও পত্রিকার পাতায় চোখ বুলিয়ে। জ্ঞান পিপাসুদের কথা মাথায় রেখে এবার একটি সেলুন পাঠাগার গড়ে উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। উপজেলার তুলসীরাম সড়কের পাশে অবস্থিত বিসমিল্লাহ সেলুন। বাইরে থেকে দেখে এটি অন্যসব সেলুনের মতোই মনে হলেও ভিতরের চিত্র আলাদা। সেলুনের মাধ্যে যেন এক টুকরো পাঠাগার। ব্যতিক্রমী এই সেলুন এলাকায় সাড়া ফেলেছে।  সরেজমিনে বিসমিল্লাহ সেলুনে গিয়ে দেখা যায়, এক গ্রাহক চুল কাটাচ্ছেন। অন্যরা বই পড়ছেন। সেলুনের পাঠাগারে আছে ৫০টির মতো বই। প্রতি তিন মাস পর বই পরিবর্তন করা হয়। গ্রাহকরা চাইলে সেলুনেই সময় নিয়ে বই পড়তে পারেন। প্রয়োজনে বাড়িতে নিয়েও বই পড়ার সুযোগও রয়েছে। সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি খাতায় নাম নিবন্ধন করতে হবে। বিসমিল্লাহ সেলুনের স্বত্বাধিকারী শাহজাদাও একজন বইপ্রেমী। কাজের ফাঁকে তিনি নিজেও বই পড়েন এবং অন্যদেরও বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। ২০২০ সালে ২০টি বই দিয়ে যাত্রা শুরু হয় সেলুন পাঠাগারের। ধীরে ধীরে পাঠাগারের পরিধি বেড়েছে। তৈরি হয়েছে কিছু নিয়মিত পাঠকও। শুরু থেকেই ভিন্নধর্মী এই সেলুন পাঠাগার গণগ্রন্থাগার অধিদফতর কর্তৃক নিবন্ধিত সেতুবন্ধন পাঠাগারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সৈয়দপুরের খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিসা বেলপুকুরের সেতুবন্ধন পাঠাগারের সদস্যরাই মূলত এখানে বই সরবরাহ করেন। বিসমিল্লাহ সেলুনের স্বত্বাধিকারী শাহজাদা বলেন, আমি এসএসসি পাস করেছি। এরপর আর পড়াশোনা হয়নি। বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। সময় পেলেই বিভিন্ন বই পড়ি। আমার দোকান যতদিন থাকবে এই পাঠাগারও ততদিন থাকবে।

সর্বশেষ খবর