শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

‘কত মানুষ ঘর পায় মুই না পাং’

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

‘কত মানুষ ঘর পায় মুই না পাং’

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশীরাম মুন্সীর বাজার এলাকার আবদুল জলিলের স্ত্রী সোনাবি বেগম। বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই সরকারি-বেসরকারি সাহায্য পেলেও আজ পর্যন্ত কিছুই জোটেনি অসহায় সোনাবি বেগমের ভাগ্যে। আক্ষেপ নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাতে ঘুমির পাং না, ঘরোত বৃষ্টির পানি দিয়ে গাও বিছনা ভিজি যায়। কত মানুষ ঘর পায় মুই না পাং। অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটে হামার। মোর তিন শতক ভূই (জমি) আছে তা খাস। ভালো একনা ঘর নাই।’ অভাবের সংসারে অসুস্থ শরীর নিয়ে খেয়ে না খেয়ে তার দিন কাটে। বৃষ্টি এলে ঘরের এক কোণে গুটিসুটি মেরে নির্ঘুম রাত কাটে। তিন সন্তানের জননী সোনাবির স্বামী বয়সের ভারে চলতে পারেন না।

 অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে পরিবারের ঘানি টানতে হচ্ছে সোনাবিকে। মুজিববর্ষে সরকারি একটি ঘর পাওয়ার আকুতি তার। সোনাবি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বাহে মোর কাইয়ো নাই, কিছুই নাই। বুড়া বয়সে মানুষের বাড়িতে কামাই করি খাং বাহে। আর কদ্দিন বাঁচিম জানাং না। দুই মুঠো খাবার পায়া শুতি থাইকপার পাইলে এ্যাকনা শান্তি পানু হয়।’ প্রতিবেশী সুমনা বেগম জানান, সোনাবি বড়ই অভাগী। স্বামী-সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন কাটে তার। একটা ঘর পাওয়ার যোগ্য হলেও তার ভাগ্যে কিছুই জোটেনি। স্থানীয় তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম জানান, এ অসহায় মহিলা সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য বলেই মনে করি। কালীগঞ্জের ইউএনও রবিউল হাসান বলেন, সোনাবি বেগমের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর