রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শত শত বিঘার বোরো ধান

মাহবুবুল হক পোলেন, মেহেরপুর

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শত শত বিঘার বোরো ধান

চলতি বোরো মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ফলন হয়েছে বাম্পার, চাষিদের মুখে এমনটাই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত রোগে জেলায় কয়েক শত বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে তেমন কিছু নয়, ক্ষতির পরিমাণ মাত্র ১ ভাগ। কৃষকদের অভিযোগ অজ্ঞাত রোগে মাঠের পর মাঠ ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কোনো পরামর্শ তারা পাচ্ছে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চলতি বোরো মৌসুমে জেলার তিনটি উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে ১৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। এবার জেলায় মোট ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

 যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫০ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পরও হঠাৎ চাষিদের মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়েছে। ধানের শীষ আসার পরপরই ধান সাদা হয়ে চিটা পড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সরেজমিনে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর রাজাপুর, খোকসা, কালাচাঁদপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠের ঘুরে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ধান পেকে গেছে। কিন্তু বাস্তবে মাঠের পর মাঠ জুড়ে ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হঠাৎ করে জমির ধানে এমন রোগ দেখা দেওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি মলিন হয়ে গেছে। রাজাপুর গ্রামের চাষি কবিরুল ইসলামসহ একাধিক চাষি অভিযোগ করে বলেন, এত বড় খবর অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মাঠে আসেননি। তাদের অভিযোগ কর্মকর্তারা মোটরসাইকেলযোগে আসেন সড়কের দুই পাশে তাকিয়ে চলে যান। এ অবস্থায় যেখানে বিঘাপ্রতি ধানের ফলন হওয়ার কথা ২০-২৫ মণ, সেখানে বিঘা প্রতি ১ মণ ধান পাওয়া যাবে কিনা সে নিয়ে চাষিদের সন্দেহ রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হিট স্ট্রোক হওয়ায় ধানের এই ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ ১ ভাগ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর