সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণে রাজস্ব বঞ্চিত হবে সরকার

দিনাজপুর প্রতিনিধি

এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণে রাজস্ব বঞ্চিত হবে সরকার

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে প্রস্তাবিত এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সরকারের গচ্ছা যাবে কোটি কোটি টাকা। বেকার হবে হাজার হাজার মানুষ। এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে তাদের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী তিনটি স্থানের যে কোনো একটিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে, বর্তমান প্রস্তাবিত স্থানের চেয়ে কম খরচে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারবে এবং সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে। এদিকে, ওই তিনটি স্থানের যে কোনোটি বেছে নেওয়ার দাবি জানিয়ে স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষের স্বাক্ষর সংবলিত আবেদন গত ৬ এপ্রিল ভূমি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে এবং হাকিমপুরের বাণিজ্যিক এলাকা ধরন্দা (সিপি রোড) হতে পৌরসভা মোড় পর্যন্ত প্রস্তাবিত এলাকায় এরই মধ্যে সার্ভেয়ার করে মাইকিং করা হয়েছে বলে মো. হারুনসহ স্থানীয়রা জানান। সরকারের গৃহীত সারা দেশে ২১টি এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের অধীনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে একটি বাস্তবায়িত হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বর্তমানে প্রস্তাবিত এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে ভূমির প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই ভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও ঘনবসতিপূর্ণ এবং হিলির প্রাণকেন্দ্র।

এ এলাকায় ১১টি বহুতল ভবন, চারটি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক (যেমন সোনালী, যমুনা, ইসলামী ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শাখা ও এজেন্ট শাখা), একটি বহুতল আবাসিক হোটেল, ১০টিরও অধিক খাবার হোটেল, প্রায় ১০০টির অধিক বিভিন্ন দোকানপাট, আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও অন্যান্য আমদানি সংশ্লিষ্ট অফিস রয়েছে। প্রস্তাবিত এ এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাজারও লোক বেকার হবে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এতে প্রায় ৫০টির অধিক বসতবাড়ি (পরিবার) উচ্ছেদ হবে। এখানে এখন প্রতি শতাংশ জমির বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা।  জানা যায়, যে রাস্তাটি এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি এলজিইডির রাস্তা। শুধু ভারতীয় ট্রাক ও বাংলা ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করার জন্য চলাচল করে। হিলি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ যানজট নিরসনে বন্দরের পশ্চিম পাশ দিয়ে কবরস্থানের নিকট একটি গেট খোলার প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে বন্দরের সব লোডকৃত বাংলা ট্রাক ওই গেট দিয়ে বের হয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কে উঠবে তখন বর্তমানে প্রস্তাবিত ওজন এক্সেলটি সরকারের কোনো কাজে আসবে না। প্রস্তাবিত এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে মাত্র ৮০০ গজ পশ্চিমে আঞ্চলিক মহাসড়ক। হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী তিনটি স্থানের যে কোনো একটিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে, বর্তমান প্রস্তাবিত স্থানের চেয়ে কম খরচে বাস্তবায়নসহ সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।

সর্বশেষ খবর