কভিড-১৯ করোনা বিস্তারের এক বছর পেরিয়ে গেলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত পিসিআর ল্যাব স্থাপন হয়নি, এতে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলাবাসী। করোনা রোগী শনাক্ত করতে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে। কারণ দিন দিন এ জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। তাই করোনা নমুনার পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত পেতে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি উঠেছে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার সুবাদে এই জেলায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষের আগমন ঘটে। তবে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় পাশপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত এখনো বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এ জেলায় করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য তিনটি বুথ খোলা হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী ও ঢাকার সাভারের প্রাণিসম্পদ বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। আর এসব নমুনার ফলাফল আসতে ৭/৮ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এতে করে জেলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আর খোদ স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধানও বলেছেন, করোনা পরীক্ষার আওতা বাড়ানো হলেই রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে।
আর এতে পজিটিভ রোগীদের আলাদা করে চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে। জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, অনেক জেলা হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন হলেও এখানে এখনো ল্যাব স্থাপন হয়নি। করোনা সংক্রমণ কমানোর জন্য পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় ফলাফলের জন্য। যার কারণে এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরীক্ষার ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপন করা অতি জরুরি। এদিকে মেডিকেল অফিসার ও টিম লিডার (নমুনা সংগ্রহ) ডা. আহনাফ শাহরিয়ার জানান, নমুনা সংগ্রহের বুথগুলোতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সংকট থাকায় করোনার নমুনা সংগ্রহে সমস্যা হচ্ছে। বুথ বাড়ানোর পাশাপাশি জনবল সংকট দূর করতে হবে। আর সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেছেন, পিসিআর ল্যাবের জন্য যে লোকবল প্রয়োজন, এ হাসপাতালে নেই। একমাত্র মেডিকেল কলেজ ছাড়া পিসিআর ল্যাব সম্ভব নয়।
