ভৈরব নদের পাড়ের মাটি বিক্রির প্রতিবাদ করায় মেহেরপুর উপজেলা মহিলা যুবলীগের সম্পাদিকাসহ দুই গ্রামবাসীর বাড়ি ভাঙচুর করেছে ইউপি মেম্বার মিলন আহম্মেদ ও তার লোকজন। এ সময় তারা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে বলে ভুক্তভুগীদের অভিযোগ। সোমবার রাত ১০ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসী জানান কয়েক দিন ধরে ইউপি মেম্বার মিলন আহম্মেদ স্কেটার দিয়ে ভৈরব নদের পাড়ের মাটি কেটে টলি করে বিক্রি করছিলেন। গত রবিবার লাল্টু ও মফিজুলসহ কয়েকজন মাটি কাটায় বাঁধা দিয়ে প্রশাসনকে খবর দেয়। এরপর গতকাল সকালে মুন্না নামে এক যুবককে খাম্বার সঙ্গে বেঁধে বেদম মারপিট করে চাঁদাবাজ সাজিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এর পর রাত ১০ টার দিকে মিলন মেম্বারের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি দল লাল্টু ও মহিলা যুবলীগের সম্পাদিকা মনোয়ারা খাতুনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় গ্রামবাসী মেহেরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশের একটি দল এসে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে চলে যায়। লাল্টুর বড় ভাই মিন্টু বলেন, রাত ১০ টার দিকে প্রথমে ৩০/৪০ জনের একটি দল আমার বাড়ির গেটে ডাকতে থাকে। আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা গেটে ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় আমরা পেছনের দরজা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে কোনো রকমে পালিয়ে যায়। এর ১ ঘণ্টা পর তারা চলে গেলে আমরা বাড়ি এসে দেখি আমাদের সব শেষ। আমাদের বাড়ির আসবাবপত্র, মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেছে। ড্রয়ার ভেঙে আমার স্ত্রী বোনের স্বর্ণালঙ্কার ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এর পর পরই তারা মহিলা যুবলীগের সম্পাদিকা মনোয়ারা খাতুনের বাড়িতে হামলা করে মনোয়ারা খাতুন, তার ছেলে মফিজুল, ছেলের বৌ বৈশাখা আক্তার ও তার স্বামীকে বেদম প্রহর করে। মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহা দারা ঘটানার সত্যতা শিকার করে বলেন ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এছাড়া আভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।