সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

হতদরিদ্রের ঘর পেলেন বিত্তবানরা

মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু, বরগুনা

হতদরিদ্রের ঘর পেলেন বিত্তবানরা

বরগুনার আমতলীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া হতদরিদ্রের ঘর বিত্তবানদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন কি যারা ঘর পেয়েছেন। তাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ইউএনওর প্রতিনিধি মো. সুজন মুসল্লি ও হাবিব গাজীকে ঘরপ্রতি ২০ হাজার টাকা দিলেই মিলছে ঘরের নির্মাণ সামগ্রী। টাকা না দিলে মিলছে না নির্মাণ সামগ্রী। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে দ্বিতীয় ধাপে আমতলী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য ৩৫০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পের গুলিশাখালী ইউনিয়নে ৫০ টি ঘর বরাদ্দ দেন ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান। ওই ঘরগুলোর মধ্যে ইউএনও কার্যালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম ক¤িপউটার অপারেটর মো. এনামুল হক বাদশার নিজ গ্রাম হরিদ্রবাড়িয়া এলাকার লোকজন পেয়েছেন ৩০টি। এর মধ্যে ১৪ টি ঘর পেয়েছেন মো. এনামুল হক বাদশার স্বজনরা। বাকি ১৬টি ঘর পেয়েছেন। তারা সবাই ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। ঘর পেয়েছেন ইউএনও কার্যালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম ক¤িপউটার অপারেটর মো. এনামুল হক বাদশার মামাতো ভাই নিজাই জোমাদ্দার, ওবায়দুল জোমাদ্দার, শহীদুল জোমাদ্দার, সোহেল জোমাদ্দার, ভগ্নিপতি মো. ফকু হাওলাদার, ফুফাতো ভাই ফোরকান, চাচা সেরাজ মৃধা, বেয়াই রাহাত তালুকদার, হাবিব গাজী, সেলিম গাজী, চাচাতো ভাই নাসির গাজী, জাকির গাজী, নূর জামাল গাজী ও আলাউদ্দিন গাজী। এরা প্রত্যেকেই এলাকার সচ্ছল ব্যাক্তি হওয়া সত্ত্বেও বাদশার যোগসাজোশে পেয়েছেন হতদরিদ্রদের ঘর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক হতদরিদ্র ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমতলী উপজেলা ইউএনও মো. আসাদুজ্জামানের দুজন প্রতিনিধি সুজন মুসল্লি ও হাবিব গাজী ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। যারা টাকা দেন তাদের বাড়িতেই পৌঁছে যায় ঘর নির্মাণ সামগ্রী। টাকা না দিলে তালিকায় নাম থাকলেও নির্মাণ সামগ্রী যাচ্ছে না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিনামূল্যের উপহারের ঘর নির্মাণ ও উপকারভোগী বাছাই করতে অনিয়মের অভিযোগ এনে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন কামাল রাঢ়ী নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা জানান, এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র ইমরান বলেন, আমি এতিম হয়েও একটি ঘর পেলাম না।

সর্বশেষ খবর