সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

গলাচিপার ডায়রিয়ার প্রকোপ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

গলাচিপার ডায়রিয়ার প্রকোপ

পটুয়াখালীর গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় গত কয়েক দিনে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি। উপজেলা সদরের একমাত্র হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক-নার্সদের। এর পরে হাসপাতালে চলছে তীব্র পানি সংকট। ফলে ভোগান্তির মাত্রা আরেক ধাপ বেড়েছে। এদিকে জেলার সাগরপারের উপজেলা রাঙ্গাবালীতে এখনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাঙ্গাবালী উপজেলার একমাত্র ভরসা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুই উপজেলার একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হওয়ায় এমনেতেই ভিড় লেগেই থাকে। তার ওপরে গত কয়েক দিনে বেড়েছে ডায়রিয়ার ব্যাপক প্রকোপ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, দুই উপজেলার  রোগীদের স্বাস্থ্য সেবার ভরসা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে সরকারিভাবে শয্যার সংখ্যা মাত্র ৫০টি। এ কারণে হাসপাতালে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছে ৩০০ জনেরও বেশি রোগী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও স্থানাভাবে অনেক রোগী আউটডোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এ ছাড়াও নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে এমন রোগীর সংখ্যাও কম নয়। কর্তৃপক্ষ আরও জানান, ডায়রিয়া রোগীদের জন্য ১০টি শয্যা নির্ধারিত থাকলেও তাতে সঙ্কুলান হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে বহু রোগী করিডর, মেঝেতে ঠাঁই নিয়েছে। হাসপাতালের ডাক্তার শাহরিয়ার জানান, জনবল ও শয্যা সংকট থাকার পরেও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা  দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশুদ্ধ পানি ও অত্যধিক গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলে জানান তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী এমনিতেই লবণাক্ততা প্রবণ এলাকা। চৈত্র-বৈশাখ মাসে পুকুরগুলোর পানি তলানিতে নেমে যায়। এবং পুকুরের পানি দূষিত হয়ে যায়। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়ে মানুষ দূষিত পানি ব্যবহার করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, মাত্রাতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে হিমশিম পোহাতে হলেও ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত মওজুদ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর