সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সংক্ষিপ্ত

রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীলনকশা হচ্ছে : কাদের মির্জা

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, নোয়াখালী ও ফেনী থেকে আমার পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের একটা নীলনকশা তৈরি করেছে। সেই নীলনকশা মোতাবেক ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত শনিবার রাতে নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি আরও বলেন, যখন ফেনীতে কোনো কিছু ঘটে বা কাউকে হত্যা করা হয় তখন নিজাম হাজারী হয়তো সিঙ্গাপুর বা দুবাই, না হয় এলাকার বাইরে থাকেন। গত তিন মাসে যা কিছু ঘটেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন করে আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জের শান্তির জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য ঢাকা থেকে কমিটি পাঠান। তাহলে শান্তি ফিরে আসবে।

-নোয়াখালী প্রতিনিধি

 

টঙ্গীতে শ্রমিক বিক্ষোভ

গাজীপুরের টঙ্গী পাগাড় এলাকায় জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লি: এর নোমান ফ্যাশনের উৎপাদন কর্মকর্তাকে মারধর ও পূর্বের ন্যায় কারখানা শ্রমিকদের ইফতারের টাকা না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে গতকাল সকালে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কর্মরত শ্রমিকরা। ঘটনার খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শ্রমিকরা জানান, রবিবার সকাল ১০টায় কারখানার উৎপাদন কর্মকর্তা দুলালকে অন্যায়ভাবে মারধর ও গালমন্দ করেন (পিডি) প্রজেক্ট পরিচালক দুলাল মিয়া। এ ঘটনার খবর শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমকিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায় শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেন। পরে বিক্ষুব্ধ  শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেড় হয়ে কারখানার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের কারখানার এই কর্তকর্তা এর আগেও বেশ কয়েকবার শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে, অথচ কেউ কিছুই বলেন না।   

-টঙ্গী প্রতিনিধি

 

হতদরিদ্রের ঘর পেলেন বিত্তবানরা

বরগুনার আমতলীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া হতদরিদ্রের ঘর বিত্তবানদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন কি যারা ঘর পেয়েছেন। তাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ইউএনওর প্রতিনিধি সুজন মুসল্লি ও হাবিব গাজীকে ঘরপ্রতি ২০ হাজার টাকা দিলেই মিলছে ঘরের নির্মাণ সামগ্রী। টাকা না দিলে মিলছে না নির্মাণ সামগ্রী। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে দ্বিতীয় ধাপে আমতলীর হতদরিদ্রদের জন্য ৩৫০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পের গুলিশাখালী ইউনিয়নে ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেন ইউএনও আসাদুজ্জামান। ওই ঘরগুলোর মধ্যে ইউএনও কার্যালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. এনামুল হক বাদশার নিজ গ্রামে হরিদ্রবাড়িয়ায় লোকজন পেয়েছেন ৩০টি।  

এর মধ্যে ১৪ টি ঘর পেয়েছেন মো. এনামুল হক বাদশার স্বজনরা। বাকি ১৬টি ঘর পেয়েছেন। তারা সবাই ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। ঘর পেয়েছেন ইউএনও কার্যালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. এনামুল হক বাদশার মামাতো ভাই নিজাই জোমাদ্দার, ওবায়দুল জোমাদ্দার, শহীদুল জোমাদ্দার, সোহেল জোমাদ্দার, ভগ্নিপতি মো. ফকু হাওলাদার, ফুফাতো ভাই ফোরকান, চাচা সেরাজ মৃধা, বেয়াই রাহাত তালুকদার, হাবিব গাজী, সেলিম গাজী, চাচাতো ভাই নাসির গাজী, জাকির গাজী, নূর জামাল গাজী ও আলাউদ্দিন গাজী। এরা প্রত্যেকেই এলাকার সচ্ছল ব্যাক্তি হওয়া সত্ত্বেও বাদশার যোগসাজোশে পেয়েছেন হতদরিদ্রদের ঘর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক হতদরিদ্র ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমতলী উপজেলা ইউএনও মো. আসাদুজ্জামানের দুজন প্রতিনিধি সুজন মুসল্লি ও হাবিব গাজী ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। যারা টাকা দেন তাদের বাড়িতেই পৌঁছে যায় ঘর নির্মাণ সামগ্রী। টাকা না দিলে তালিকায় নাম থাকলেও নির্মাণ সামগ্রী যাচ্ছে না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিনামূল্যের উপহারের ঘর নির্মাণ ও উপকারভোগী বাছাই করতে অনিয়মের অভিযোগ এনে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন কামাল রাঢ়ী নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা জানান, এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র ইমরান বলেন, আমি এতিম হয়েও একটি ঘর পেলাম না।

-বরগুনা প্রতিনিধি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর