মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ ভবনে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

জরাজীর্ণ ভবনে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র

চারপাশে ঝোপঝাড় আর জরাজীর্ণ অবস্থা দেখলে মনে হবে পরিত্যক্ত কোনো ভবন। এমনই বেহাল দশা ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের। স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় দিনের বেলায়ও দেখা যায় শিয়াল। ভবনটি পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের নিরাপদ আড্ডাস্থল হিসেবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আর সরকারের তদারকি না থাকায় নষ্ট হতে বসেছে তিনটি ভবনসহ আসবাবপত্র। স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৪ সালে নেদারল্যান্ড সরকারের অনুদানে কৃষ্ণপুর এলাকায় ৪০ শতাংশ জায়গায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নির্মাণ ও পরিচালিত হয়ে আসছিল। মূল ভবন ও স্টাফ থাকার জন্য দুটিসহ মোট তিনটি ভবন এবং চারদিকে সীমানা প্রাচীর করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষ এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে আসছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ড সরকার অনুদান বন্ধ করে দেওয়ায় কয়েক বছর ধরে এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জনবল সংকটে পড়েছে। দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ভবনগুলো। ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বিভিন্ন স্থানে খসে পড়েছে পলেস্তারা। যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে ভবনগুলো। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনগুলো মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। এ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সদরপুর গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এ এলাকার মানুষ। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্করা স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভবনগুলো সংস্কার করে জনবল নিয়োগ দিয়ে কেন্দ্রটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সদরপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফয়সাল বলেন, ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। জোড়াতালি দিয়ে আমরা দুই বছর চালিয়েছিলাম, এখন আর চালানো সম্ভব নয়। এখানে একজন মেডিকেল সহকারী ও একজন ভিজিটর ছিলেন। ভিজিটর অবসরে গেছেন। সরকার উদ্যোগ নিলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর