শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

অসহায় মানুষের পাশে লিগ্যাল এইড

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর এক সন্তানের জননী অজুফা খাতুনকে যৌতুকের জন্য স্বামী নির্যাতন করে তালাক দিয়েছেন। নিঃস্ব অজুফা প্রতিকার পেতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আবেদন করেন শেরপুর লিগ্যাল এইডে। এ অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পারিবারিক এই মামলায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অজুফার পক্ষে রায় হয়।

অজুফা এ অফিসের মধ্যস্থতায় স্বামীর কাছ থেকে সব পাওনা বুঝে পান। অজুফা বেগম বলেন, ‘মামলায় কোনো খরচ হয়নি।’ লিগ্যাল এইড সহায়তা না করলে আমার মতো নিঃস্ব মানুষের পক্ষে আইনগত লড়াই করা ছিল অসম্ভব।

অজুফার মতো এমন অনেকের পাশে দাঁড়িয়ে আইনগত সহায়তা দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে শেরপুর লিগ্যাল এইড। প্রতি বছরই বাড়ছে সেবা নেওয়াদের সংখ্যা। এই সংস্থাটি অসহায় মানুষের ন্যায়সংগত বিচার পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আদালত সূত্র জানায়, করোনাকালেও গত এক বছরে (২৮ এপ্রিল ২০২০ থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত) সরাসরি মামলার জন্য মোট আবেদন পড়েছে ৩৪৫টি। এর মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি ৬৫টি, বিকল্প পদ্ধতিতে সফল নিষ্পত্তি হয়েছে ২৮৩টি, নথিজাত আছে ৮৩টি, অপেক্ষমাণ ১০৩টি, পরামর্শ প্রদান করা হয় ৭৪২ জনকে, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) এর ফলে বিচারাধীন বা চলমান মামলা নিষ্পত্তি ২৪২টি হয়েছে। এডিআরের মাধ্যমে দুই কোটি, ৫০ লাখ, ৪৭ হাজার ৬৫ টাকা আদায় করে পক্ষগণের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মো. জুলফিকার হোসাইন রনি জানান, মানুষ এখন নিজের অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। এই কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজের নির্দেশনায় অসহায় মানুষের জন্য এখানে বিচারের দ্বার উন্মুক্ত। আদালতের বিচারকদের সক্রিয় ভূমিকা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আইনজীবী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে লিগ্যাল এইড শেরপুরের কার্যক্রম। ২০১৩ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩২৪ জনকে এই সেবা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। তবে লোকবল বাড়ানো গেলে বিচার প্রার্থীরা আরও সুবিধা পাবেন।

সর্বশেষ খবর