বুধবার, ৫ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

গাইবান্ধায় নিয়ন্ত্রণহীন ওষুধ ব্যবসা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় নিয়ন্ত্রণহীন ওষুধ ব্যবসা

গাইবান্ধায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রমরমিয়ে চলছে ওষুধ ব্যবসা। জেলায় ওষুধের দোকান আছে ৫ হাজারের বেশি। কিন্তু এর মধ্যে লাইসেন্স আছে মাত্র ১ হাজার ২৬০টির। বাকি ৭৫ ভাগ দোকানোর লাইসেন্স যেমন নেই। তেমনি নেই প্রশিক্ষিত ফার্মসিস্ট। এ তথ্য জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির। তবে জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির কোনো সংখ্যা জানাতে পারেনি। স্থানীয়রা জানান, শহর গ্রাম পাড়া মহল্লায় ওষুধের দোকান দেওয়ার হিড়িক পড়ে  গেছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা ব্যবসায়ীরা করছেন না। প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট না থাকায় তারা লাইসেন্সের শর্তও পূরণ করতে পারছেন না। প্রকাশ্যে এসব ব্যবসা চললেও তা নিয়ন্ত্রণে সরকারি কোনো পদক্ষেপও চোখে পড়ে না। মাঝেমধ্যে অভিযান চললেও তা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, যে ১ হাজার ২৬০টি ফার্মেসি লাইসেন্স করেছিল। তাদের মধ্যে আবার ৩০০টি লাইসেন্স নবায়নও করেনি। এদের মধ্যে দশ থেকে এক বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্সধারীরা রয়েছেন।

 জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, গাইবান্ধা শহরসহ সাত উপজেলায় মোট ওষুধের দোকান আছে ৫ হাজারের বেশি। এরমধ্যে মাত্র ৪৫০টি ফার্মেসি আমাদের সমিতির সদস্য। লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোকে লাইসেন্স করার অনুরোধ জানালেও তারা গুরুত্ব দেন না। ফার্মেসির জন্য সনদপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্টের প্রয়োজন। গাইবান্ধায় মোট সনদধারী ফার্মাসিস্ট আছেন ১ হাজার ২০০ জন। অথচ ফার্মেসি চলছে ৫ হাজারের বেশি। গাইবান্ধা শহরেই লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান কমপক্ষে ৬০টি। গাইবান্ধা সচেতন নাগরিক কমিটির সহসভাপতি অশোক সাহা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ফার্মেসিতেই প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট থাকার কথা কিন্তু অধিকাংশ  ক্ষেত্রেই তা নেই। এর সঙ্গে আবার লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি অবাধে ব্যবসা করে যাচ্ছে। রোগিরা যেন সঠিক এবং ভালোমানের ওষুধ কিনতে পারে সেজন্য প্রশাসনিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কার্যালয়ের তত্বাবধায়ক মো. মেহেদী হাসান বলেন, লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স করার জন্য মতবিনিময়সহ বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর