শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাকালেও পাথর বিক্রির রেকর্ড

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

করোনাকালেও পাথর বিক্রির রেকর্ড

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনি এলাকায় স্তূপ করে রাখা পাথর

করোনাকালেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদন সচল রয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ গত এপ্রিল মাসেই প্রায় ২০ কোটি টাকার রেকর্ড পরিমাণ পাথর বিক্রি করেছে। ফলে করোনায় অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েনি পাথর খনি এলাকার অর্থনীতিতে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন শুরু হলে খনি শ্রমিক এবং পাথর পরিবহনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তিন হাজারের বেশি মানুষ-ব্যবসায়ী আশঙ্কা করেছিলেন, এবার মনে হয় খনি বন্ধ হয়ে যাবে। কর্মহীন হয়ে পড়বেন তারা। কিন্তু পাথর উত্তোলন ও বিক্রি চালু রাখায় সব শঙ্কা দূর হয়েছে। দেশের উন্নয়নে উন্নতমানের পাথর ব্যবহারের কথা ভেবে তিন শিফটে মধ্যপাড়া খনির পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। উত্তোলন অব্যাহত থাকায় পাথর বিক্রিও বেড়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে খনির গেটে প্রধান সড়কে শত শত ট্রাক পাথর নিতে লাইন দেয়। বর্তমানে প্রতিদিন দুই শতাধিক ট্রাক বিক্রীত পাথর খনি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। পাথর বহন ও ক্রেতার পদচারণায় মুখরিত খনি এলাকা। গড়ে উঠেছে খনিকেন্দ্রিক নতুন নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। খনিসূত্র জানায়, বর্তমানে বিভিন্ন ইয়ার্ডে পাথর মজুদ আছে প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন। এপ্রিল মাসে পাথর বিক্রির আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পাথর বিক্রি আশাতীত হওয়ায় চলতি অর্থ বছরও (২০২০-২০২১) তৃতীয় বারের ন্যায় মধ্যপাড়া পাথর খনি লাভজনক হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবারও গত দুই অর্থ-বছরের ন্যায় প্রফিট বোনাস পাবেন বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী। মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কো. লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবু তালেব ফরাজী বলেন, এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৯৭ হাজার মেট্রিক টন পাথর। যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানায় করোনায় কোনো সমস্যা হয়নি এখানে। খনি থেকে গড়ে প্রতিদিন পাথর উত্তোলন হচ্ছে ৪ হাজার মেট্রিক টন এবং বিক্রি হচ্ছে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন।

সর্বশেষ খবর