শনিবার, ৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

তুলসীগঙ্গা খননে রক্ষা পাবে ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

তুলসীগঙ্গা খননে রক্ষা পাবে ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন

তুলসীগঙ্গা নদী খনন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করায় রোপা আমন ধান বন্যা থেকে রক্ষা পাবে। এমন স্বপ্ন দেখছেন জয়পুরহাট জেলার তিন উপজেলার কৃষক সমাজ। ফলে নদী খনন ও বাঁধ সংস্কার হওয়ায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন রক্ষা পাবে। জেলার তিনটি উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষকের খেতের ফসল। এত দিন নদীর তলদেশ ভরাট থাকায় উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি এবং স্থানীয় বৃষ্টির পানিতে বিল হাওয়াই মাঠের বাঁধের দুই তীরের আমন ধান পানিতে তলিয়ে যেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নদী খনন এবং বাঁধ সংস্কার করায় বন্যা থেকে ফসল রক্ষা পাবে। জেলা সদরের বম্বু, জামালপুর, ক্ষেতলালের তুলশীগঙ্গা, মামুদপুর ও আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দ্রীপুর এবং সোনামুখী ইউনিয়নের কৃষকরা বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি অপসারণ এবং খরা মৌসুমে নদীর পানি ধরে রেখে রবিশস্য চাষের জন্য ১৯৯২ সালে নদীর উভয় তীরে নির্মাণ করা হয়। যার দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বাঁধের উভয় পাশের পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হয় ১৭টি স্লুইসগেট। কিন্তু নদীর তলদেশ ভরাট থাকায় স্লুইসগেট দিয়ে ধীরগতিতে পানি নিষ্কাশন হতো নদীতে। ক্ষতির মুখে পড়ত কৃষকের আমন ধান। বর্ষা মৌসুমে  জেলার সদর, ক্ষেতলাল এবং আক্কেলপুর উপজেলার ২০-২৫ গ্রামের কৃষকের কষ্টের রোপা আমন ধান একটুতেই বন্যায় নষ্ট হতো। প্রায় ৩০ বছর পর সাড়ে ৪১ কিলোমিটার নদী খনন এবং নদীর উভয় তীরের ৩০ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংস্কার কাজ গত বছরের জুলাই মাসে শুরু হয়। এতে ৭৪ কোটি টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলার মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, তুলশীগঙ্গা নদীর কারণে প্রতি বছর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই ইউনিয়নের কৃষকরা।

সর্বশেষ খবর