রবিবার, ৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্রেতাশূন্য কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ক্রেতাশূন্য কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী

এশিয়ার সর্ববৃহৎ তৈরি পোশাক মার্কেট ঢাকার কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী এখন ক্রেতাশূন্য। দেশের তৈরি পোশাকের শতকরা ৮০ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে থাকে কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী। ঈদ, পূজা, শীতকে কেন্দ্র করে এখানকার সারা বছরের ব্যবসা হলেও, ঈদের মৌসুমই এখানকার ব্যবসায়ীদের মূল ভরসা। তবে চলমান দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞায় ভেস্তে গেছে এবারের ঈদ মৌসুমের ব্যবসা। গত বছরের লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই আবার বিশাল অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তৈরি পোশাকের সর্ববৃহৎ পাইকারি মার্কেট হওয়ার কারণে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লীর ঈদের বেচাকেনা শুরু শবেবরাতের পর থেকে রমজানের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলে মূল বেচা বিক্রি। তবে চলমান নিষেধাজ্ঞায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসতে পারছেন না। ফলে ব্যবসায়ীরা দোকান খুললেও ক্রেতা না থাকায় বেচাকেনা একদম নেই বললেই চলে। গত বছরের লোকসানের ধাক্কা কাটানোর আশায় অনেকে এ বছর দ্বিগুণ বিনিয়োগ করেছেন। ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারলে হয়তো ধারদেনা পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারতেন। কিন্তু চলমান লকডাউনে হয়েছে তার উল্টো। একদিকে ধারদেনা ও নানা খরচ অন্যদিকে ক্রেতাশূন্য মার্কেট। সরেজমিনে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ  বিক্রয় কেন্দ্রই ছিল ক্রেতাশূন্য। প্রতিটি দোকানে লাখ লাখ টাকার পণ্য মজুদ রয়েছে। তবে কোনো দোকানে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘসময় মহামারীর কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে এসেছে। এর পাশাপাশি গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সারা দেশের ব্যবসায়ীরা ঢাকায় পণ্য কিনতে আসতে পারছেন না। আবার দেশের নানা প্রান্ত থেকে যারা রাজধানীতে কেনাকাটা করতে আসেন তারাও আসতে পারছেন না। যে কারণে বিক্রি একেবারেই নেই। জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুসলিম ঢালী বলেন, গত বছরের লসের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য এ বছর অনেক ব্যবসায়ী দ্বিগুণ বিনিয়োগ করেছেন। তবে শবেবরাতের পর পরই লকডাউনের কারণে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবারও ক্ষতির মুখে পড়ল গার্মেন্ট পল্লীর সিংহভাগ ব্যবসায়ী। গত তিনটি ঈদের লকডাউন থাকায় লসে অনেকেই পথে বসে যাবে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সব নিয়ম মেনেই দোকানদারি করছি। কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি স্বাধীন শেখ বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ক্রেতা আসতে পারছেন না। বিশেষ করে পাইকারি ক্রেতারা আসছেন না বলে আমাদের বিক্রির অবস্থা খুব ভালো না।

সর্বশেষ খবর