শিরোনাম
রবিবার, ৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই চলছে স্পিডবোট

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই চলছে স্পিডবোট

পটুয়াখালীর গলাচিপার তিনটি স্পিডবোট রুটে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দ্বিগুণ ভাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্পিডবোট চলাচল করছে। করোনা মহামারীতে সরকারি বিধি-নিষেধের পুঁজি করে এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে চলছে এ ব্যবসা। এ ঘটনা প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের হয়রানি হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে লকডাউনের সময় রুট চালাতে বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত খরচ ও লোকসান হওয়ায় ভাড়া  বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান স্পিডবোটের মালিকরা। এ বিষয় কিছুই জানা নেই বলে জানান পটুয়াখালী জেলার বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান। সরেজমিন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া স্লুইসঘাট এলাকায় বোয়ালিয়া-কোড়ালিয়া, গলাচিপার পানপট্টি লঞ্চঘাট-কোড়ালিয়া ও গলাচিপার বদনাতলী লঞ্চঘাট-চরকাজল লঞ্চঘাট এলাকায় তিনটি রুটে স্পিডবোট চলাচল করছে। এসব এলাকায় চলাচলকারী স্পিডবোটের ভাড়া প্রতি কিলোতে ১০টাকা করে নির্ধারণ করা থাকলেও এখানে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ নিয়ে প্রতিদিনই যাত্রীদের নানা রকম হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালিয়া এলাকার ব্যবসায়ী লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ‘বোয়ারিয়া স্পিডবোট দিয়ে যাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রীদের সঙ্গে চেরাই করা কাঠও পরিবহন করছে। প্রতিবাদ করলে স্পিটবোট কর্তৃপক্ষ আমাদের হেনস্থা করে। এ ছাড়া কয়েকদিন আগে আমার এক ছোট ভাই বোয়ালিয়া থেকে রাঙ্গাবালী যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে যায়। ওই সময় ১২০ টাকা করে টিকিট নির্ধারণ থাকলেও তাদের তিনজনের কাছে এক হাজার টাকা দাবি করে। এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে এ নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়। পরে বোয়ালিয়া বাজারের লোকজন বলে কয়ে ৭০০ টাকায় তিনজনের টিকেট কেটে দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বাভাবিক সময় ১৮ জন করে যাত্রী পারাপার করে।

কিন্তু লকডাউনের সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে অর্ধেক নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তাও তারা মানছেন না। বোয়ালিয়া স্পিডবোট মালিক সমিতির পক্ষের মালিক মো. নবীন খলিফা বলেন, ‘আমরা তিনটি সমিতি মিলে মোট ৭১জন মালিক যৌথভাবে স্পিডবোট ব্যবসা করছি। লকডাউনের কারণে যাত্রী কম হয়। লকডাউনে আমরা যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে রাঙ্গাবালীর প্রশাসনের অনুরোধে সীমিতভাবে ঘাট চালু রাখছি। যাত্রী  কম, কিন্তু এলাকার মানুষের জন্য মাঝে মধ্যে দুই একটা ট্রিপ দেই। আমাদের তেল খরচ হলেই যাত্রীদের পারাপার করি। এ ছাড়া আমরা কোনো অতিরিক্ত টাকা বা যাত্রী নেই না। তবে ২০০ টাকা করে না নিলে এখন আমাদের পোষায় না। পণ্য পরিবহনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব সময় আমরা কাঠ বা এ ধরনের পণ্য পরিবহন করি না। জরুরি কিছু সময় মাঝে মধ্যে এগুলো পরিবহন করি। এতে এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটেনি। জানতে চাইলে পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘আমি পটুয়াখালীতে নতুন এসেছি। এখন পর্যন্ত সব কিছু জানি না। তবে লকডাউনের সময় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার কথা। এতে যাত্রীদের সঙ্গে কোনো পণ্য পরিবহন করতে পারবে না। অতিরিক্ত ভাড়া ও ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এমন হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর