বুধবার, ১২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

খাল খননে অনিয়ম

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

খাল খননে অনিয়ম

ফরিদপুরের সালথায় একটি খাল ও একটি সরকারি বাঁওড় পুনঃখননে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাল ও বাঁওড় পুনঃখননের নামে যোগসাজসে পৃথক দুটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে খনন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া হাজিবাড়ি থেকে সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৮৬ ঘন মিটার খাল পুনঃখননের জন্য ১৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং ১৬ হাজার ৪৪ ঘন মিটার কাগদী সরকারি বাঁওড়ের একাংশ পুনঃখননের জন্য ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদফতর। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প দুটির খনন কাজ শুরু করেন প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দিন খান পান্নু। খনন প্রকল্পের কাজ দুটি ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। সরেজমিন দেখা যায়, চান্দাখোলা বারোফিট খাল খনন কাজ করা হচ্ছে মাত্র একটি ভেকু মেশিন দিয়ে। কাজের সাইডে প্রকল্প সভাপতি বা তদারকি কর্মকর্তারা কেউ ছিলেন না। খাল খননে ৩ ফিট গভীর করার কথা থাকলেও এক থেকে দেড় ফিট গভীর করে খনন কাজ করা হচ্ছে। আবার খালের অনেক স্থানে খননই করছে না। খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক দিয়ে খাল খনন করার কথা। অথচ ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ করায় বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকরা। তারা আরও বলেন, খালের দুই পাড়ে এমনভাবে মাটি রাখা হয়েছে, যা বৃষ্টি নামলেই মাটি ধসে পড়ে পুনরায় খাল ভরে যাবে। এদিকে, কাগদী বাঁওড়ে খননে দেখা যায়, মাত্র একটি ভেকু মেশিন দিয়ে বাওড়ের চারদিকে পাড় বাঁধছে। এখানে গভীর করে খননের কোনো চিত্র দেখা যায়নি। সূত্র জানায়, প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দীন খান পান্নু তার প্রভাবশালী এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মৎস্য অধিদফতর থেকে লবিং করে বিভিন্ন খাল ও বাওড় খননের প্রকল্প এনে লুটপাট করে এলেও দেখার কেউ নেই। এখনো মৎস্য অধিদফতরের কয়েকটি খাল ও বাঁওড় খননের কাজ করছে। সালথায়ও তার দুটি খনন প্রকল্পের কাজ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে লুটপাটের চেষ্টা করছে। তাই খাল ও বাওড় পুনঃখননে এভাবে অনিয়ম করছেন তিনি।

খাল ও বাওড় পুনঃখননে অনিয়মের বিষয় বক্তব্য জানতে চাইলে প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দীন খান পান্নু বক্তব্য না দিয়ে তিনি বলেন, এনিয়ে লেখালেখি করার দরকার নেই। সালথা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজিব রায় বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করলে বিল দেওয়া হবে না। খাল ও বাওড় পুনঃখননে যতটুকু গভীর করে কাটবে ততটুকুর বিল দেওয়া হবে। আর আগের প্রকল্পগুলোতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও বর্তমান প্রকল্পে ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে। ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, খাল ও বাওড় খননের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর