শিরোনাম
সোমবার, ১৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বাড়ছে উত্তরের নদীর পানি

প্রতিদিন ডেস্ক

বাড়ছে উত্তরের নদীর পানি

হঠাৎই বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি। রাজশাহীর পদ্মা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবা ও পাগলা, লালমনিরহাটের তিস্তা ও সিরাজগঞ্জের যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। যদিও পানি বাড়ার এই হারকে এই সময়ে স্বাভাবিক ও খুবই সামান্য বলছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-  রাজশাহী : বর্ষায় নিয়মিতভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। পাশাপাশি ফারাক্কা বাঁধ হয়েও ভারত থেকে কিছু পানি আসছে। ভারতের গঙ্গা নদী রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে পদ্মা হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। কিন্তু বছরের বেশিরভাগ সময় পদ্মার এসব এলাকা বিস্তীর্ণ বালুচরে পরিণত হয়। এর প্রভাব পড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও কৃষিতে। তবে কেবল বর্ষা এলেই পদ্মা নদীতে পানি বাড়ে। তবে গত ১০ মে থেকে পদ্মায় পানি বাড়ছে। রাজশাহী পাউবোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী পানি বাড়ার হার ছিল ১০ মে ৭.৮৩ সেন্টিমিটার, ১১ মে ৭.৮৬ সেন্টিমিটার, ১২ মে ৭.৯৩ সেন্টিমিটার, ১৩ মে ৮.০৭ সেন্টিমিটার, ১৪ মে ৮.২৫ সেন্টিমিটার, ১৫ মে ৮.৩৭ সেন্টিমিটার ও ১৬ মে ৮.৪৪ সেন্টিমিটার। পাউবোর প্রধান কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, উজানে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় এখন পানি বাড়ছে। এটি এ সময় স্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে।  চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবা ও পাগলা নদীর পানিও বাড়ছে। গত দুই দিনে পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন, দুই দিনে মহানন্দা নদীর পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া অন্য নদীর পানিও বেড়েছে। সিরাজগঞ্জ : গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার। এখন যমুনার পানির উচ্চতা আছে ৭.২৪ মিটার। গত তিন দিন ধরেই হার্ড পয়েন্টে পানি বাড়ছে। যমুনার বিপদসীমা ১৩.৩৫ মিটার। এক কর্মকর্তা জানান, দুদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণে নদীর পানিও বাড়ছে।  লালমনিরহাট : ভরা জ্যৈষ্ঠে বর্ষাকালের রূপ নিয়েছে তিস্তা নদী। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানিতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের উজানের স্রোতধারায় পানি প্রবেশ করছে হু হু করে, যা দ্রুত তিস্তা ব্যারাজ অতিক্রম করে তিস্তা দ্বিতীয় সেতু হয়ে ভাটির দিকে গড়িয়েছে। গত কয়েক দিন আগেও নদীর বুকে যে ধু-ধু বালুচর দেখা গিয়েছিল, তা যেন নিমিষেই নদীর পানিতে চাপা পড়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচ ক্যানেলগুলো পানিতে টইটম্বুর হয়ে পড়েছে। ডালিয়ার তিস্তা নদীর পানি পরিমাপক অফিস বলছে, দুদিনে উজানের ঢলে তিস্তায় এখন প্রায় ১৮ হাজার কিউসেকের মতো পানিপ্রবাহ আছে। সূত্র মতে, শুক্রবার তিস্তার পানিপ্রবাহ ছিল ৪৯ দশমিক ৭৫ মিটার। পরদিন শনিবার ১০০ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ দশমিক ৩০ মিটারে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত আরও ৬৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পানিপ্রবাহ দাঁড়ায় ৫১ দশমিক ৬৫ মিটারে।

পাশাপাশি উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে প্রাণহীন তিস্তা ফিরে পেয়েছে যৌবন। পাউবোর উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভালোর দিক বলে মনে করছি আমরা। এবার দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তায় জোয়ার বইছে। এ ছাড়া ভারত থেকেও কিছুটা পানি আসছে। যার কারণে তিস্তা ফিরে পেয়েছে প্রাণ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর