সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ যেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে না পারে-সেজন্য সতর্ক নজর রাখছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় এ রোগ সম্পর্কে সতর্কবার্তা পাঠানো হলেও কোনো নির্দেশনা আসেনি দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে। বেনাপোল বন্দর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী হওয়ায় প্রতিনিয়তই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত প্রায় বন্ধ। কিন্তু ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিনই আসছে। বাংলাদেশে প্রবেশের পর তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অথবা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’র আশঙ্কা দূর হয়নি। আবার ভারত থেকে ট্রাকে মালামাল নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন সে দেশের চালকরা। বাংলাদেশ থেকে ভারত সীমান্তে ট্রাক নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি চালকরা। তাদের থেকেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বাংলাদেশে প্রবেশের শঙ্কা রয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, আমরা সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের কার্যক্রম চালাচ্ছি। ওপারের ট্রাক চালক, হেলপার, শ্রমিক সংগঠনগুলোকে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’র বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাদের কিছু বলা হয়নি। এ বিষয়ে তারা কোনো নির্দেশনা দিলে সবাইকে জানানো হবে। বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমাদের কাছে আসেনি। তারপরও আমরা বন্দর এলাকায় সতর্কতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছি। শার্শা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী জানান, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ প্রতিরোধে বন্দর এলাকায় বাড়তি কোনো সতর্কতার বিষয়ে এখনো নির্দেশনা আসেনি।
