বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

আর্থিক সংকটে ঝিমিয়ে পড়ছে সংস্কৃতিচর্চা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

আর্থিক সংকটে ঝিমিয়ে পড়ছে সংস্কৃতিচর্চা

সিলেট বিভাগে সংস্কৃতির চারণভূমি হিসেবে পরিচিত হবিগঞ্জ। অতীতে এ জেলা জমজমাট থাকত নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে। প্রায় দেড় দশক ধরে নেই কোনো বড় উৎসব। অতীতে হবিগঞ্জের নাট্য সংগঠনগুলো নিয়মিত মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসত। এখন হয় কদাচিৎ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর এমন দৈন্যদশা। আর্থিক সংকটে কোনো আয়োজনই করতে পারছেন না সাংস্কৃতিক কর্মীরা। সংস্কৃতিসংশ্লিষ্টরা মনে করেন আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে মঞ্চনাটকসহ ঐতিহ্যবাহী ভাটিয়ালির আসরে এখন মানুষের আগ্রহ কমেছে। সংকট রয়েছে নাট্যকর্মীরও। অল্প সময়ে সস্তা পরিচিতি পেতে আনাড়ি শিল্পীরা ফেসবুক-ইউটিউবের জন্য বিভিন্ন নাটক, মিউজিক ভিডিও বানাতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জানা যায়, হবিগঞ্জে ১৫টির বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। আছে দুটি শিশু সংগঠন। নতুন-পুরান মিলে আছে পাঁচটি অডিটোরিয়াম ও হল। জেলার প্রাচীন নাট্য সংগঠন ‘খোয়াই থিয়েটার’-এর সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন খাঁ বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে মূলত নাটক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে ঐতিহ্যবাহী হবিগঞ্জ পিছিয়ে আছে। পুরনো টাউন হল ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের পরই এ অবস্থার সৃষ্টি। এখন বড় বড় মঞ্চ হয়েছে, সুউচ্চ ভবন হয়েছে। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা নেই বললেই চলে। আগে সরকার থেকে কিছু দেওয়া হতো। এখন তাও দেওয়া হয় না। রিহার্সেলের জন্য কোনো টাকা দিতে হতো না। এখন এজন্যও টাকা লাগে। তা ছাড়া রিহার্সেলের পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। হল ভাড়া দিয়ে অনুষ্ঠান করার সাধ্য আসলে সংগঠনগুলোর নেই।’ মঞ্চশিল্পী প্রভাষক সুকান্ত গোপ বলেন, ‘একাধিক নতুন ও আধুনিক হল নির্মাণ হয়েছে ঠিকই কিন্তু এগুলোর মঞ্চের ডিজাইন পরিকল্পিতভাবে হয়নি। আগে যেখানে অল্প টাকায় নাট্য সংগঠনগুলো হল ভাড়া পেত, সেখানে এখন কয়েক গুণ টাকা দিতে হয়। যা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ মঞ্চশিল্পী জোবায়েদ হোসেন মনে করেন, আকাশ সংস্কৃতির কারণেই মঞ্চনাটক ও ঐতিহ্যবাহী আয়োজন হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অনিরুদ্ধ কুমার ধর শান্তনু বলেন, ‘সরকারি অনুদান পেতে ঝামেলার শেষ নেই। সংগঠকরাও বিভক্ত। নাটক চর্চার হল পাওয়া যায় না।

সর্বশেষ খবর