বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সারা দেশে পঞ্চগড়ের সুপারি

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

সারা দেশে পঞ্চগড়ের সুপারি

দেশের সব জেলায় সুপারি উৎপাদন হলেও উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সুপারি অন্যতম। দাম, ফলন এবং স্বাদে আলাদা হওয়ায় এই জেলার সুপারির সুনাম রয়েছে সারা দেশে। জেলার কৃষকরা দিন দিন বাণিজ্যিকভাবে সুপারির বাগান গড়ে তুলে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে পঞ্চগড়ের সুপারি। উত্তরের  প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে বহু প্রাচীনকাল থেকেই সুপারি পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাণিজ্যিকভাবে পানের আবাদও শুরু হয়েছে দুই দশক আগে। বর্তমানে পানের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে সুপারিরও চাষ শুরু হয়েছে এই জেলায়। দিন দিন বাড়ছে সুপারির বাগান। কৃষকরা স্বল্প খরচে সুপারির বাগান গড়ে তোলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সুপারির উৎপাদন। বাড়ির আঙ্গিনা বা বসবাসের আশপাশেই এসব বাগান গড়ে উঠেছে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এখন অন্যত্র বিক্রি করছেন তারা। কেউবা জমির সীমানা ঠিক রাখতে লাগিয়েছেন এই গাছ। আর কেউ বা শখের বসে, চা বাগানে সুপারির গাছ লাগিয়ে প্রতি বছর মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে সুপারির বাগান করা শুরু করেছেন। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন কিছুটা কম হলেও দামের দিক দিয়ে চলতি বছরেই সর্বোচ্চ দামে সুপারি বিক্রি করছে এই জেলার কৃষকরা। চলতি বছরে প্রতি পন সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। চাষিরা বলছেন একটি সুপারি গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ সুপারি ধরে থাকে। পন আকারে বাজারে বিক্রি করেন তারা। ৮০টি সুপারিকে এক পন আকারে ধরা হয়। প্রায় বিনা পুঁজিতেই সুপারি বিক্রি করে প্রতিবছর ভালো আয় করছেন কৃষকরা। তেঁতুলিয়া উপজেলার ডিমাগজ গ্রামের হাজেরা বেগম জানান দীর্ঘদিন ধরে সুপারির বাগান করছি। ৫০ শতক জমিতে প্রায় ৪০০ সুপারির গাছ আছে। প্রতিবছর এক লাখ টাকার সুপারি বিক্রি করি। সংসারের নানা কাজে লাগে। ব্যবসায়ীরা বলছেন পঞ্চগড়ের সুপারির আকার, স্বাদ ও রং তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো। সারা দেশে এই সুপারির চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে তাই রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর