বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

হাতে হাতে ঘুরছে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগ ঘটছে পরিবেশ দূষণ

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

হাতে হাতে ঘুরছে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগ ঘটছে পরিবেশ দূষণ

ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার সর্বত্র মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে পলিথিন। এখন বাজারে গেলে ব্যাগ নিয়ে যেতে হয় না। মাছ, মাংস, সবজিসহ সব ধরনের পণ্য বিক্রেতারা পলিথিনের ব্যাগে ভরে দেয়। আর ক্রেতারা বাড়ি এনে পলিথিন যত্রতত্র ফেলছেন। এতে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। শহর এলাকায় এটি বেশি লক্ষ্য করা যায়। ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে ডিসি অফিসে যেতে রাস্তার মাঝে এটির বিস্তার বেশি। ডিসি অফিস, জজকোর্ট, মৎস্য, এলজিইডি, এসপি ও গণপূর্ত অফিস পর্যন্ত এর দুর্গন্ধ। অফিসগুলো পাড়ি দিতে নাকমুখ চেপে যেতে হয়। পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনের তৎপরতা ঝিমিয়ে পড়েছে। বেড়ে গেছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এ পলিথিনের ব্যবহার। পরিবেশ বাদীদের দাবি অবিলম্বে পলিথিনের উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধে কঠোর হোক প্রশাসন। জানা গেছে ১৯৯৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পলিথিন বিক্রি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও কিছুদিন পলিথিন ব্যবহার হতে দেখা যায়। পরে প্রশাসন পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। পলিথিন বিক্রেতাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়। বিভিন্ন গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ পলিথিন। পরে এসব পলিথিন  ধ্বংস করা হয়। নিয়ন্ত্রণে আসে পলিথিনের বিক্রি ও ব্যবহার। পলিথিনের পরিবর্তে পাট, কাপড় ও কাগজের তৈরি ব্যাগের প্রচলন শুরু হয়। এর পর ধীরে ধীরে পলিথিনের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান শিথিল হয়ে আসে। বাড়তে থাকে পলিথিনের ব্যবহার। এসব পলিথিন ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। নদী-খালের পানিতে ফেলার পর পানি দূষণ হচ্ছে। শহরের ড্রেনে ফেলার পর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মানুষের মাঝে পলিথিন ব্যবহার না করার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় না। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা জানান, পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়।

সর্বশেষ খবর