শনিবার, ২৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সুগন্ধি আতপ ধানের দামে খুশি কৃষক

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

সুগন্ধি আতপ ধানের দামে খুশি কৃষক

চিনি আলো বা চিনি আতপ ধানের আশাতীত দাম পেয়ে এবার জয়পুরহাটের কৃষকরা দারুণ খুশি। বাজারে প্রতি মণ চিনি আলো ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনি আলো বা চিনি আতপ ধানের চাহিদা বাড়ায় কৃষক এই ধান চাষ করে ধানের ফলন ও দাম দুটিই ভালো পাওয়ায় তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি বোরোর এ মৌসুমে ৩৫০ একর জমিতে চিনি আতপ বা চিনি আলো ধান আবাদ হয়েছে। এই ধান বোরো এবং আমন দুই মৌসুমেই আবাদ করা যায়। বোরো মৌসুমে চিনি আতপ ধানের ফলন বেশি। আর আমন মৌসুমে (বর্ষা কাল) ফলন একটু কম। বাজারে এ ধান ১২৫০ টাকা মণ (৪০ কেজি) দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, চিনি আলো বা চিনি আতপ ধান (অ্যারেমেটিক) জেলার কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। বাকি তিনটি উপজেলায় চাষ তুলনামূলক কম। কালাই উপজেলার পুনট গ্রামের কৃষক আহসান হাবীব ৪ বিঘা জমিতে চিনি আতপ ধান চাষ করেছেন। ধানের ফলনও খুব ভালো। ধানের প্রকারভেদে বাজারে ১২৫০- ১৩০০ টাকা মণ দরে এ ধান বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, সাধারণ বোরো ধানের চেয়ে চিনি আতপ ধানের দাম মণপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা বেশি। এ চিনি আতপ চালের চাহিদা শুধু ঈদে বা বিয়েশাদিতে নয়। সারা বছর হাটবাজারের হোটেলগুলোতে মানুষের চিনি আতপ চালের বিরানি খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এ জন্য এ চালের চাহিদা সারা বছর থাকছে। চিনি আতপ বা চিনি আলো হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেন ক্ষেতলালের মহব্বতপুর গ্রামের কৃষক জামিলুর সাখিদার। তিনি জানালেন, এবার ফলন বিঘাপ্রতি ২২-২৫ মণ হয়েছে। দামও খুব ভালো।

 গতকাল  চার মাথা বাজারে সরেজমিন দেখা গেছে, ১ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ( ৪০ কেজি) চিনি আতব ধান বিক্রি হচ্ছে। জয়পুরহাটের ধান ব্যবসায়ী দিলীপ সেন বলেন, এ জেলা ছাড়াও জেলার বাইরে চিনি আতব ধানের ব্যাপক চাহিদা আছে। এবার এ ধানের দাম বেশ ভালো। কৃষকরা চিনি আতব ধান আবাদ করে ভালো দাম পেয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় প্রতি বছর চিনি আতব ধানের আবাদ বাড়ছে। দাম ও ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষক। বোরো ও আমন দুই মৌসুমেই আবাদ হচ্ছে চিনি আতব ধান।

সর্বশেষ খবর