মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ইলিশ নেই, জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

ইলিশ নেই, জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে

ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। কাক্সিক্ষত ইলিশ না পেয়ে জেলেরা হতাশ হয়ে নৌকা নিয়ে তীরে ফিরেছেন। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি না থাকায় মৎস্য আড়ত জমে উঠছে না। সাগরের ইলিশে বিগত ২/৩ দিন সরগরম ছিল বড়স্টেশন মাছঘাট। ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের মধ্যে ছিল কর্মব্যস্ততা। অন্যদিনের তুলনায় ইলিশের আমদানি বেশি থাকায় খুশি সবাই। তেমন ক্রেতা পাওয়া না গেলেও হাঁক-ডাকে গরম ছিল মাছঘাট। ব্যবসায়ী হাজী আবদুল খালেক বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত  দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সময়ের পূর্বে সাগরে আহরণকৃত ইলিশগুলো চাঁদপুর ঘাটে এসেছে। এরপর আর  কোনো ইলিশ ঘাটে আসবে না। এখানকার ৭০০  থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি মণ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঘাটে সামান্য যা ইলিশ আসছে তা সাগরের। পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ নেই বললেই চলে। সাগরের ইলিশে আমরা খুশি নই। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ পেলে সবাই খুশি হবো। মাছঘাটের জেলে রফিক জানান, আমরা সাগর এলাকায় ইলিশ ধরি। সাগরে এখন মাছ শিকার নিষিদ্ধ। আগে যা ধরেছি,  সেগুলো বরফে রাখা হয়েছে। আগের আহরণকৃত ইলিশ একত্র করে চাঁদপুর মাছঘাটে আনা হয়েছে।

 চাহিদা ভালো বলে, ইলিশ এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি মানিক জমাদার বলেন, পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ নেই।  লোকাল আর সাগরের কিছু ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানের চাষ করা মাছ এখানে আসে,  সেগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয়। মাছঘাটে যে ইলিশ এসেছে, সেগুলো জেলেদের আগের ধরা ইলিশ। অবশ্য কাক্সিক্ষত ইলিশ এখনো আমরা পাচ্ছি না। ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, এখন যে ইলিশ আসছে তাতে  বুঝা যাচ্ছে সরকারি বিভিন্ন অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও আগস্ট-সেপ্টেম্বর হচ্ছে ইলিশের ভরা মৌসুম। বর্ষায় ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি নদীর পানি ঘোলা ও স্রোত বাড়লেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়বে। গত বছর দেশে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। সে হিসেবে এবছর উৎপাদন সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি। গত কয়েক বছর গড়ে ১০/১২ হাজার মেট্রিক টন করে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর