রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

হিলিতে কমেছে পিঁয়াজের দাম

হিলি প্রতিনিধি

হিলিতে কমেছে পিঁয়াজের দাম

পিঁয়াজের চাহিদা ও দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। ফলে ইমপোর্ট পারমিশন (আইপি) পেয়েছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা। আর পাইকারি বাজারে দাম কমেছে ৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন অল্প দিনের মধ্যেই পিঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। ফলে দেশের বিভিন্ন বাজারে দাম কমতে শুরু করবে। আইপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৯ এপ্রিল পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এক মাস বন্ধ থাকার পর আইপি পাওয়ায় আবারও ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহ আগে যে পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে । সেই পিঁয়াজই প্রকার ভেদে এখন  বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩১ টাকা কেজি দরে। এদিকে দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে।  এদিকে যে পিঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে।  সেই পিঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। হিলি বাজারের পাইকারি পিঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি হওয়াতে দাম কমেছে। আমরা আমদানিকারকদের কাছে থেকে পাইকারি ২৮  থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ৩০ থেকে ৩১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বর্তমানে হিলি দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ ডলারে পিঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। কাস্টমস অ্যাসেসমেন্ট করছে ৩০০ ডলারে। আর প্রতিকেজিতে ডিউডি দিতে হচ্ছে ১.৩০ টাকা।

 হিলি কাষ্টমস বলছে, গত ২ কর্ম দিবসে  ১৩টি ভারতীয় ট্রাকে ৩০৮ টন পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপ সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আসন্ন কোরবানী ঈদে যথেষ্ট পরিমাণ পিঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এখন থেকেই বাজারে পিঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। প্রচুর পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি করা হবে। তাতে ভোক্তা সাধারণ স্বল্প মূল্যে পিঁয়াজ কিনতে পারবে।

সর্বশেষ খবর