সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকিতে বাঁধ ও সেতু

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকিতে বাঁধ ও সেতু

ঠাকুরগাঁও শহরের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর দুই পাশ ভরাট করতে কাছেই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। অবৈধভাবে বালু তুলে ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিকাদারি কাজে। এতে নদের তীর সংরক্ষণ বাঁধ, সেতু ও আশপাশের স্থাপনা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্র জানায়, টাঙ্গন নদের ওপর সেতু নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাটি ভরাটের জন্য ব্যয় ধরা রয়েছে ৮ লাখ। মূল ঠিকাদার ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স হলেও স্থানীয়ভাবে কাজটি করছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ। ২০১০ সালের বালুমহাল আইনমতে সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। টাঙ্গন নদের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, তীর সংরক্ষণ বাঁধের ১০ মিটারের মধ্যে ড্রেজার বসিয়ে মাটি তোলা হচ্ছে। পাইপের মাধ্যমে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে সেই বালু ফেলা হচ্ছে। বালু তোলার কাজে ব্যস্ত রফিকুল ইসলাম নামে একজন জানান, তাদের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলায়। সেতুর ঠিকাদারের লোকজনের সঙ্গে চুক্তি করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলছেন তারা।

 এ কাজ শেষ হতে আরও ১০-১৫ দিন লাগবে। পৌর শহরের কলেজপাড়া মহল্লার মোস্তাক আলম বলেন, ঠিকাদার মাটি ভরাটের খরচ বাঁচাতে নদ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে প্রকল্প এলাকা ভরাট করছেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন এলাকায় জরিমানা করছে প্রশাসন। এখানে অবাধে বালু তোলা হলেও তা বন্ধে কারও পদক্ষেপ দেখা যায় না। এলজিইডি ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারুল আলম মন্ডল বলেন, নদের বালু তুলে প্রকল্পে ব্যবহারের বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযুক্ত ঠিকাদার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অনুমতি নিয়ে নদ থেকে বালু তোলা হচ্ছে। পাউবো ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, নদ থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, টাঙ্গন নদে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর