মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

তিস্তার ভাঙনে হুমকিতে জনপদ

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

তিস্তার ভাঙনে হুমকিতে জনপদ

কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে অতিষ্ঠ তিস্তা নদী পাড়ের মানুষ। ফলে হুমকিতে জনপদ। অবিরাম ভাঙনে ঘর বাড়ি বসত ভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে অনেকের। বিভিন্ন সরকারি অফিসে ভাঙন কবলিতরা অভিযোগ করে পাননি কোনো সমাধান। তাই সাংবাদিকরা নদী ভাঙনের খবর সংগ্রহ করতে গেলে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরাতো ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আপনারা চলে যান। ‘উলিপুর উপজেলার বজরা ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাসিমবাজার লকিয়ারপাড় এলাকার ভাঙন কবলিত মানুষজন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। ওই এলাকার আব্বাস মিয়া হারু মিস্ত্রি ও দুলাল দোকানদার জানান, গত তিন বছর থেকে আমাদের এলাকায় নদী ভাঙছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক মানুষ এই নদীর ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে। এ ছাড়াও গত ৪/৫ দিনে প্রায় ৬০টি বাড়ি ভেঙে গেছে। এখনো লোকজন নদীর পাড় থেকে গাছপালা, বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। এখানকার মানুষের অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউই এখানে দুর্দশার চিত্র দেখতে আসেননি। বরং বারবার যোগাযোগ করেও কোনো ফল নেই। ফলে তিস্তা পাড়ের গৃহহীন মানুষগুলো ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রায় ১৫/১৬টি ভাঙন কবলিত পরিবার খোলা আকাশের নিচে সামান্য ছাপড়া ঘর তুলে কোনোরকম অবস্থান করছেন। কাসিমবাজার নাজিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলতাফ হোসেন অবসরের প্রায় ১৫/১৬ লাখ টাকা দিয়ে মনোরম বিল্ডিং বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন, শেষ বয়সে একটু ভালোভাবে থাকার জন্য। সেই বিল্ডিং ঘর এখন তিস্তা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভিটেহারা হয়ে এখন তিনি উলিপুরের তবকপুর ইউনিয়নে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই আবদুর রাজ্জাক ও ছোট ভাই রফিকের। তারা এখন নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের বসতবাড়ি, গাছপালা, আবাদি জমিন সব এখন তিস্তা নদীতে মিশে গেছে। ওই এলাকার ফরহাদ হোসেন জানান, এ ছাড়া একই অবস্থা ৩৫/৪০টি পরিবারের।

সর্বশেষ খবর