বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ঈদের আগে সীমান্তে ভারতীয় গরু

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

ঈদের আগে সীমান্তে ভারতীয় গরু

জয়পুরহাটের এক খামারি চারটি ষাঁড় গত এক বছর ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন। আর এক মাস ছয় দিন পর কোরবানির ঈদ। একে তো করোনা সংক্রমণ। আবার সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানে গরু আসতে পারে এমন ভাবনা কুরে কুরে খাচ্ছে জয়পুরহাটে খামারি ও গরু লালন-পালনকারীদের। ভারতীয় গরু আসা ঠেকাতে না পারলে খামারিসহ জেলা জুড়ে গরু লালন-পালনকারীদের আর্থিক সর্বনাশ ডেকে আনবে ভারতীয় গরু। এমনই আশঙ্কা জয়পুরহাটের খামারি আর গরু লালন-পালন করে বছর শেষে কোরবানি ঈদে গরু বিক্রেতাদের। জেলার সদর উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসেন বলেন, সারা বছর গরু লালন-পালন করে কোরবানি ঈদে তা বিক্রি করে কিছুটা লাভের মুখ দেখেন খামারিসহ গরু পালনকারী কৃষকরা। তার দাবি ভারতীয় গরু আসা বন্ধ না হলে তারা আর্থিক লোকসানে পড়বেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে গরুর খামার আছে ৫ হাজার ৬১২ টি। খামার ও কৃষকের ঘরে কোরবানির উপযুক্ত গরু আছে ১ লাখ ১ হাজার ৪২৭টি। জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য গরুর প্রয়োজন হবে ৯০-৯৫ হাজার। সে হিসেবে কোরবানি দেওয়ার পরও গরু জেলায় ১২-১৫ হাজার গরু থেকে যাবে। জেলার বাহিরে বিভিন্ন জেলায় এ কোরবানির গরুর কিছুটা চাহিদা মিটাবে।

সর্বশেষ খবর