রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

নজর কাড়ছে সেলুন পাঠাগার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

নজর কাড়ছে সেলুন পাঠাগার

সেলুনে অপেক্ষার সময়টুকু যেন অলস না কাটে সেজন্য নেওয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সেলুনে বসে পড়া যাবে বই- এমন ধারণা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সেলুনভিত্তিক পাঠাগার গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তার প্রচেষ্টায় দেশের তিন জেলায় চারটি সেলুনভিত্তিক পাঠাগার গড়ে উঠেছে। ব্যতিক্রমী এ পাঠাগার নজর কাড়ছে পাঠকসহ সবার। বর্তমানে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজোলায় গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখায় সিনিয়র কেন্দ্র ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন হারুন। নিজে লিখেছেন দুটি বই। একটির নাম ‘ঊনত্রিশ’ আরেকটি ‘ইস্কাপনের টেক্কা’। মূলত কলেজে অধ্যয়নকালে বইয়ের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় হারুনের। পড়াশোনা শেষ করে ২০০৭ সালে নিজের বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি পাঠাগার। বর্তমানে ওই পাঠাগারে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন লেখকের অন্তত ২ হাজার বই রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা বাজারের ‘সুব্রত হেয়ার কাটিং’য়ে প্রথম সেলুনভিত্তিক পাঠাগার করেন তিনি। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার কুলিয়ারচর বাজারের নিখিল হেয়ার কাটিং এবং বিজয় হেয়ার কাটিং সেলুনে আরও দুইটি পাঠাগার গড়ে তোলেন। গত মে মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অরুয়াইল বাজারে নকুল ফ্যাশন হেয়ার কাটিং সেলুনে পাঠাগার স্থাপন করেন তিনি।

সেলুনগুলোর ভিতরে এক পাশে ছোট আকারে পাঠাগারগুলো করা হয়েছে। প্রতিটি পাঠাগারে বিভিন্ন লেখকের দুই শতাধিক বই রয়েছে।

অনেকে কৌত‚হল নিয়ে সেলুনভিত্তিক পাঠাগারে আসছেন। চুল-দাড়ি কাটতে এসে অপেক্ষার সময়টুকু বই পড়ছেন। সেলুন মালিকরাও হারুনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সেলুনে তরুণ প্রজন্মের অনেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসে। সেই চিন্তা থেকেই সেলুনভিত্তিক পাঠাগার করার পরিকল্পনা করি। সেলুন মালিকদের রাজি করিয়ে নিজের অর্থায়নেই পাঠাগারগুলো করেছি। দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে সেলুনভিত্তিক পাঠাগার করতে চাই।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর