রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতার শঙ্কায় দিশাহারা ২০ গ্রামের কৃষক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

জলাবদ্ধতার শঙ্কায় দিশাহারা ২০ গ্রামের কৃষক

কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রবাহমান ভানী খাল ভরাট করা হচ্ছে। খাল ভরাটে বন্যা ও জলাবদ্ধতাসহ ফসলি জমি বিলীনের আশঙ্কায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ২০ গ্রামের মানুষ। কৃষকদের অভিযোগ, ভানী খাল ভরাট করে সেখানে নির্মিত হচ্ছে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প। মাত্র ৪০ জন ভূমিহীনদের জন্য খালটি ভরাট করায় দেবিদ্বার উপজেলার ভানী, আছাদ নগর, খিরাইকান্দি, বখরিকান্দি, আন্দিরপাড়, মধ্যনগর, টেবারিয়াসহ ২০ গ্রামের সাধারণ মানুষ এবং কয়েক শ কৃষক পরিবার দুর্ভোগে পড়বেন। ওই খাল উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। দেবিদ্বারের ভানী ইউনিয়নের আরও একাধিক স্থানে সরকারের খাস জমি থাকলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে লাখো হেক্টর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল গোমতী নদীর শাখা ভানী খাল ভরাট করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে কৃষি জমিতে পানির সেচ এবং বর্ষার পানি নিষ্কাশনসহ পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে ফসলি জমি নষ্ট, জলাবদ্ধতা ও বন্যা সৃষ্টি হবে। ৭০ বছরের বৃদ্ধ কৃষক আবদুল মজিদ জানান, পানি সেচ এবং বর্ষা শেষে জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ভরসা এ ভানী খাল। এটি ভরাট করায় পানির চলাচল বন্ধ হয়ে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়ে শত শত কৃষক পরিবার। খাল ভরাটের বিষয়ে ভানী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ভরাটকৃত অংশ সরকারি খাস জমি। খাল আগেই দখল করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে খালের দখলকৃত অংশ উচ্ছেদ করবে প্রশাসন, যাতে পানির চলাচল বন্ধ হয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি ভানী গ্রামে গৃহহীন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে স্থানীয় রাজনীতির পুরনো দ্ধন্ধ কাজ করছে। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সেদিকে আমরা সবসময় খেয়াল রাখছি।

সর্বশেষ খবর