রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

নওগাঁয় বেহাল আট কিলোমিটার সড়ক

আট কি.মি. এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

নওগাঁয় বেহাল আট কিলোমিটার সড়ক

এলজিইডির আওতায় আদমদীঘি থেকে আবাদপুকুর যাওয়ার একমাত্র প্রধান সড়কটির বর্তমান বেহাল দশা। বছরের পর বছর সংস্কার না করায় সড়কটির পুরো অংশজুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে রাতের আঁধারে চলাচলের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।  উপজেলা  প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী আবাদপুকুর থেকে পার্শ্ববর্তী বগুড়ার আদমদীঘি হয়ে নওগাঁ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের এটি একমাত্র প্রধান সড়ক। আবাদপুকুর থেকে আদমদীঘি যাওয়ার এই আট কিলোমিটার সড়কের পুরো অংশই ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আদমদীঘি উপজেলার সীমানা কুসম্বী বাজার পর্যন্ত সড়কটি পুনরায় পুনর্নির্মাণ করায় তা এখন আর ঝুঁকিপূর্ণ নেই। কিন্তু আদমদীঘি উপজেলার শেষ সীমানার কুসম্বী বাজারের পর থেকে শুরু হওয়া রানীনগর উপজেলার অংশের পুরো সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সড়কটির কোনো সংস্কার না করায় কুসম্বী বাজারের পর থেকে পারইল বাজার, বগারবাড়ি বাজার, আবাদপুকুর এলাকার অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। দিনের বেলায় কোনোভাবে চলাচল করা গেলেও রাতের বেলায় ঘটছে মরণঘাতী দুর্ঘটনা। পথচারী আনছার আলী, নেহাল আহমেদসহ অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আবাদপুকুর-রানীনগর সড়কটির পুনর্নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষ ও ছোট-বড় যানবাহন নওগাঁ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের জন্য এই সড়কটিই ব্যবহার করে আসছেন। এ ছাড়াও আবাদপুকুরহাট জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধানের হাট হওয়ার কারণে এই সড়কটির গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু বর্তমানে এই সড়কের মাঝে মাঝে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্তের কারণে সহজেই চলাচল এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন। উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই সড়কটির পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার কাজের চাহিদা একটি প্রকল্প ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কয়েক দিন আগে কাজের অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন এবং অর্থ বরাদ্দ দিলেই সড়কটির প্রশস্তকরণ ও পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর