রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

টানা বৃষ্টিতে শহরে হাঁটু পানি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টিতে শহরে হাঁটু পানি

একটু বৃষ্টি হলেই কুষ্টিয়া শহরের অধিকাংশ সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। আর বর্ষাকাল এলেই এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। বাধ্য হয়েই জনসাধারণকে পানি মাড়িয়ে এসব সড়কে চলাচল করতে হয়। শহরবাসীর দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষ ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২৭ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করলেও সুফল পাচ্ছেন না পৌরবাসী। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই জলাবদ্ধতার হাত থেকে কবে শহরবাসীর মুক্তি মিলবে এটা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। টানা ১ ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই কুষ্টিয়া শহরের অধিকাংশ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। বিশেষ করে শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক, কলেজ মোড়, মীর মোশাররফ হোসেন সড়ক, থানাপাড়া, আমলাপাড়া, আড়ুয়াপাড়া, হাসপাতাল সড়কসহ শহরের বেশিরভাগ সড়কেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই এসব সড়কসহ শহরের অনেক সড়কেই হাঁটু পানি জমতে দেখা যায়। শহরের জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে কথা হয় কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, শহরের কলেজ মোড়ে এসে ড্রেনগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একটি গেছে কলেজ মোড় থেকে কাটাইখানা মোড়ের দিকে। আরেকটি কলেজ মোড় হয়ে জেল খানা মোড়ের দিকে গেছে। ১৯৯৪ সালে এই ড্রেন নির্মাণ হয়। এই প্রাইমারি ড্রেনের সঙ্গে শহরের অধিকাংশ ড্রেনের লিংক আছে। শহরের সব ড্রেনের পানি গিয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের উত্তর পাশের বড়পিট নামক জায়গায় গিয়ে জমা হয়। সেখান থেকে পানি জিকে প্রজেক্টের সাইফুন দিয়ে বের হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই বড়পিট ভরাট হয়ে যাওয়ায় ড্রেনের পানি সেখানে ঠিকমতো নিষ্কাশন হচ্ছে না। ড্রেন দিয়ে পানি ঠিকমতো নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যাচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষার সময় এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। তিনি জানান, উচ্চ আদালতে এই বড়পিটের জায়গা নিয়ে মামলা বিচারাধীন থাকায় পৌরসভা শহরবাসীর এই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারছে না। তিনি জানান, ২০২০ সালে পৌরসভা কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মোল্লাতেঘড়িয়া পর্যন্ত বড়পিটের জায়গা সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করে। প্রায় আড়াই কোটি টাকাও পরিশোধ করা হয়। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়ায় পৌরসভা কোনো কিছু করতে পারছে না। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে জিকে প্রজেক্ট রয়েছে সেখানে সাইফুনেরও ত্রুটি রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ১৯৬২ সালে নির্মিত এই সাইফুনের ইনলেট প্রশ্বস্ত না হওয়ার কারণে সেখানে ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হয় না। এদিকে একটু বৃষ্টিতেই সড়কে হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদেরকেও জনগণের কটূ কথা শুনতে হচ্ছে বলে জানান কুষ্টিয়া শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রক্তিম উদ্দিন কোয়েল।

সর্বশেষ খবর