সোমবার, ২১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মাদকে ভাসছে টঙ্গী

আফজাল, টঙ্গী

মাদকে ভাসছে টঙ্গী

মাদকে ভাসছে টঙ্গী। হাত বাড়ালেই মিলছে নানা ধরনের মাদক। আর এই মাদকের নেশায় ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। এ ছাড়া আবাসিক হোটেলগুলো নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললেও কার্যকর ভূমিকায় তেমন একটা নেই। মাদক ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, কাউন্সিলর ও পুলিশের আশপাশ দিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ বুঝার কোনো উপায় নেই। আবার নেতা ও পুলিশের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে নিজে নেতা সেজে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কার্যক্রম। যে কারণে শতভাগ মাদক নির্মূল করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আবার অনেকেই মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বাড়ি গাড়ি বানিয়েছেন। তবে এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এর ভয়াবহতা আরও বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে টঙ্গীতে রমরমা মাদক ব্যবসা। হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদক। ছোট বড় সব বয়সী মানুষের হাতে এখন মাদক। এই মাদকের কারণে বাড়ছে চুরি ছিনতাই ডাকাতি ও খুনসহ নানা ধরনের অপরাধ। সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে দত্তপাড়া বনমালা এলাকায় এক যুবক খুন হয়। এ ছাড়া টঙ্গী ৫৭নং ওয়ার্ড মাজার বস্তি এলাকায় ৩১ মে সোমরার রাতে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চিহ্নিত মাদক কারবারি রোকন মিয়া নিহত হয়েছেন। টঙ্গীর উল্লেখযোগ্য মাদক স্পটগুলোর মধ্যে, পূর্ব আরিচপুর নদীবন্দর, টঙ্গী রেলব্রিজ ও টঙ্গী বাজার ব্রিজের নিচে, হাজী মাজার বস্তি, গোপালপুর জাবান হোটেল, রেলস্টেশন, রেলগেট উড়াল সেতু, গাজীপুরা সাতাইশ খরতৈল ও ব্যাংকপাড়া, সুখী নগর, হাজিপাড়া, ব্যাংকের মাঠ বস্তি, আমতলি,  কেরানির টেক, এরশাদ নগর, দত্তপাড়া, কলাতলাবস্তি, নিশাত নগর বস্তি, মাছিমপুর, কড়ইতলা বস্তি, আউচপাাড়সহ ২০-২৫টি স্পটে রমরমা মাদক ব্যবসা। পুলিশের নাকের ডগায় আঙ্গুল দিয়ে দেদার চালিয়ে যাচ্ছে মাদক কারবারিদের কার্যক্রম। গাজীপুরা সাতাইশ খরতৈল এলাকার বাসিন্দা সোহেলসহ বেশ কয়েক জন বলেন, এই এলাকায় একাধিক মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে মাদকসহ নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম বলেন, আমার পশ্চিম থানায় নির্দিষ্টি কোনো মাদক স্পট নেই, বিচ্ছিন্নভাবে মাদক ব্যবসা চলে, আমাদের কাছে কোনো মাদকের তথ্য এলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পূর্ব থানার ওসি জাবেদ মাসুদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় নেই। আমি পূর্ব থানায় যোগদানের পর অনেক মাকদ কারবারিদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর