শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সরকারি নীতিমালা উপেক্ষিত অবৈধভাবে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

সরকারি নীতিমালা উপেক্ষিত অবৈধভাবে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি

নীতিমালা ভেঙে ঠাকুরগাঁওয়ের সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের বিরুদ্ধে শহরের দুইটি সরকারি বিদ্যালয়ে অনিয়ম করে সরকারি চাকরিজীবীর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সন্তানকে ভর্তির অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্বেলন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য আসনের বিপরীতে বদলিজনিত কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির সুযোগ থাকলেও তা মানেননি জেলা প্রশাসক। গতকাল এক সংবাদ সম্বেলনে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগীরা। এক অভিভাবক জুলফিকার আলী বলেন, ভর্তিতে অনিয়ম করা হলে কষ্ট করে ছেলে-মেয়েকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করার দরকার কী। এটা অনৈতিক কাজ। এ ছাড়া বছরের মাঝখানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ না থাকলেও অনেক ব্যবসায়ীর সন্তানকে ভর্তি করেছেন। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও শহরের সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ১৩৮ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ী তাদের সন্তানকে ভর্তির আবেদন করেন। গত ৩ জুন জেলা প্রশাসক ভর্তি কমিটির সভা ডেকে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। ১২ জুন থেকে বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি শুরু হয়।

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ১৩ ও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২১ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তার সন্তান ১৪ জন। ব্যসায়ীর সন্তান ১৩ জন। রাজনীতিবিদদের সন্তান সাতজন। স্বামীর বদলি সুবাদে ছেলের ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন নিলুফার ইয়াসমিন। কিন্তু তার ছেলেকে ভর্তি করানোর সুপারিশ করেনি কমিটি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক অর্থের বিনিময়ে সরকারি বিদ্যালয়ে নিয়মের বাইরে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করেছেন। আমি প্রয়োজনে মামলা করব। গতকাল এক সংবাদ সম্বেলনে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী। এক অভিভাবক জুলফিকার আলী বলেন, ভর্তিতে অনিয়ম করা হলে কষ্ট করে ছেলে-মেয়েকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করার দরকার কী। এটা অনৈতিক কাজ। সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পীযূষকান্ত রায় বলেন, জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর করা রেজুলেশন পেয়ে ছাত্র ভর্তি করিয়েছি। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে ভর্তি কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ভর্তি কমিটির সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়েছে। কমিটি সরকারি চাকরিজীবীর পাশাপাশি গণ্যমান্য ব্যক্তির সন্তানদেরও ভর্তির সুপারিশ করেছে। এটা অনিয়ম হয়েছে কি না জানি না।

সর্বশেষ খবর