শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বাড়ি বাড়ি সর্দি জ্বর

বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা রাজশাহীর গোদাগাড়ী। প্রায় বাড়িতে জ¦র, কাশি, সর্দিতে আক্রান্ত মানুষ। স্থানীয় কবরস্থানে গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে চারজনের দাফন হচ্ছে রমজানের ঈদের পর থেকেই। সারি সারি নতুন কবর। যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের অর্ধেকই করোনা উপসর্গে বাড়িতে প্রাণ হারিয়েছেন। রাজশাহীতে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার এখনো ঊর্ধ্বমুখী।  তবে এবার শহরের চেয়ে গ্রামের রোগী বেশি আসছেন হাসপাতালে। সবচেয়ে বেশি আসছে গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে। গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, কয়েকদিন জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে মানুষ বাড়িতে থাকছে। এরপর মারা যাচ্ছে। অনেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন বলে তিনি জানতে পারছেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও পরীক্ষা করাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রেকর্ডসংখ্যক রোগী ভর্তি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। তিনি বলেন, নতুন ভর্তি রোগীর প্রায় ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে এসেছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। শামীম ইয়াজদানী বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় থামানো যাচ্ছে না। তাই এখন রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। তবে এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই এই মহামারী মোকাবিলা সম্ভব বলে জানান তিনি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য বলছে, এখন শহরের চেয়ে গ্রামে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। উপজেলাগুলোর মধ্যে গোদাগাড়ীর রোগী বেশি। সামাজিক সংক্রমণ আগেই হয়েছে। এখন চিত্র ফুটে উঠছে বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর