সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়া বাজারের উপকণ্ঠে কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। জোয়ারের প্রবল স্রোতে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধটি ভেঙে দুটি ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, তালার শালিখায় টিআরএম প্রকল্পের সংযোগ মুখ বেঁধে দেওয়ার কারণে নদের প্রবল জোয়ারের স্রোত জেঠুয়া বাজারের সন্নিকটে কপোতাক্ষ নদের বাঁকে আছড়ে পড়ছে। ফলে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে এ বাঁধটি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। মাগুরা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ রামপ্রসাদ দাস, স্থানীয় বাসিন্দা জবেদ আলী, অলিউর রহমান, স. ম আহাদ, মাফাজ্জেল হোসেন, ব্যবসায়ী সুকুমার ঘোষ কপোতাক্ষের প্রবল স্রোতের কারণে জেঠুয়া বাজরসংলগ্ন স্থানের বাঁধে যে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে তা শিগগিরই সংস্কার প্রয়োজন। বাঁধটি সংস্কার না হলে চলমান বর্ষা মৌসুমের যে কোনো মুহূর্তে নদের প্রবল জোয়ারে বাঁধ ভেঙে জেঠুয়াবাজার, জালালপুর, নেহালপুর, ধূলান্ডা, বারুইপাড়া, চরগ্রাম, কৃষ্ণকাটি, আটঘরা, কানাইদিয়া ও জেটুয়াসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়বে। এ ছাড়া পানিবন্দী হয়ে এলাকার ঐতিহ্যবাহী তিনটি বাজার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এতিমখানা, সমজিদ, মন্দির, মাদরাসাসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। বাঁধটি সংস্কারের কথা বললে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের এসও ফিরোজ হোসেন জানান, কপোতাক্ষ নদের শালিখা অংশে টিআরএমর মুখ বেঁধে দেওয়ার কারণে জেঠুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। করোনা সময়ের কারণে যশোর ও সাতক্ষীরা লকডাউন থাকায় এলাকায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউন উঠে গেলে যত দ্রুত সম্ভব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, টিআরএমর মুখে বাঁধ দেওয়ার কারণে কপোতাক্ষের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন শুরু হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পরে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধে সংস্কার না করায় প্রবল স্রোতে অনেক গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা।