বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা

চলছে সতর্কতা মাইকিং ।। প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা

পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত বসতবাড়ি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে। এরই মধ্যে ছোট ছোট টিলায় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত জনগোষ্ঠী। তবু পাহাড় ছাড়তে নারাজ অনেকে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে হাজার হাজার পরিবার। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়ে বসবাসরতদের নিরাপত্তায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে খোলা রয়েছে ২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। পাহাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে অব্যাহত আছে মাইকিং। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সভা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করে ৩১টি স্থানে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে। বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া পাহাড়ধসের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ শুরু করেছি। পৌরসভার তথ্যমতে, শুধু রাঙামাটি শহর এলাকায় এক লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে- শহরের শিমুলতলী, নতুন পাড়া, মনতলা, রাঙ্গাপানি, রিজার্ভ, এসপি অফিস সংলগ্ন এলাকা, শহীদ আবদুুল আলী একাডেমি সংলগ্ন ঢাল, পুলিশ লাইন সংলগ্ন ঢাল, স্বর্ণটিলা পাহাড়ের ঢাল, রাজমণিপাড়া পাহাড়ের ঢাল, রেডিও স্টেশনের পাশে শিমুলতলী পাহাড়ের ঢাল, লোকনাথ মন্দির পাহাড়ের ঢাল, আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, চম্পক নগর পাহাড়ের ঢাল, পাবলিক হেলথ পাহাড়ের ঢাল, আমানতবাগ পাহাড়ের ঢাল, মুজিবনগর পাহাড়ের ঢাল এলাকায়। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন এ সব এলাকার লোকজন। আতঙ্কগ্রস্ত অনেকে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন। রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, যে কোনো মুহুর্তে ঘটতে পারে পাহাড় ধসের ঘটনা। যারা এখনো পাহাড়ের নিচে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পৌরসভার পক্ষ থেকে বার বার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। তবুও তারা নিজেদের ঝুঁকি নিজেরাই তৈরি করছেন।

এদিকে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি, কলাবাগানসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় থেকে মাটি ধসে সড়কের ওপর পড়েছে।

এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আবারও পাহাড় ধসে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সর্বশেষ খবর