শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বেহাল লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ ১৮ কিলোমিটার সড়ক

কয়েকটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষের সহজ যোগাযোগের মাধ্যম বরিশাল-লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ সড়ক

রাহাত খান, বরিশাল

বেহাল লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ ১৮ কিলোমিটার সড়ক

বরিশাল-লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন মরণফাঁদ। ছবিটি লাকুটিয়া থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বরিশাল-লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ ১৮ কিলোমিটার সড়ক ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ হয়েছেন পঙ্গু। ভাঙ্গা এই সড়ক অবিলম্বে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়। বিভাগীয় শহর বরিশালের সঙ্গে বাবুগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা এবং মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার লাখ লাখ মানুষের সহজ যোগাযোগের মাধ্যম বরিশাল-লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ সড়ক। এলজিইডি বরিশাল অফিস সূত্র জানায়, বরিশাল নগরীর নতুন বাজার মরকখোলা পোল থেকে লাকুটিয়া হয়ে বাবুগঞ্জ কলেজ রোড পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে নগরীতে ২ দশমিক ৫, বরিশাল সদর উপজেলায় ৭ দশমিক ৩ এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার। বরিশাল নগরী অংশে মোটামুটি চলা গেলেও বাকি ১৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার যান চলাচলের একেবারে অনুপযোগী। সব এই ১৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার পুনর্নির্মাণ করা হয় ২০১২-১৩ সালে। এরপর বাবুগঞ্জ অংশের দুই কিলোমিটার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর থেকে এই সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এই সড়কের থ্রি হুইলার যাত্রী তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সড়কটি খুবই খারাপ। চলাচলের অবস্থা নেই। বিশেষ করে বর্ষাকালে ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল শরীফ জানান, হাজার হাজার মানুষের বরিশাল সদরে যাতায়াতের একমাত্র পথ লাকুটিয়া সড়ক। সড়কটি নিয়ে দুর্ভোগে আছেন এলাকাবাসী। এই সড়কে চলাচল করা খুবই কষ্টের। প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায়। ভ্যানচালক নুরুজ্জামান জানান, বরিশাল-লাকুটিয়া-বাবুগঞ্জ সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। খানাখন্দের কারণে প্রায়ই গাড়ি উল্টে অথবা কাত হয়ে যায়। গত ৫-৭ বছর ধরে সড়কের একই হাল দেখছেন তারা। অটো চালক রহিম হাওলাদার জানান, এই সড়কে ভ্যান চালাতে গেলে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। প্রায়ই ভ্যানের চাকা বাঁকা হয়ে যায়। ভেঙে যায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। মোটরসাইকেল চালক শহিদুল ইসলাম জানান, নতুন বাজার থেকে লাকুটিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কে খুব সমস্যা। কোনো প্রসূতিকে এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেলে তার ডেলিভারি রাস্তায় হয়ে যাবে। ভুক্তভোগীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ন এক সড়ক সংস্কারের দাবি জানান। সড়কটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করেছেন বরিশাল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই সড়কটি সংষ্কারের জন্য নতুন অর্থ বছরে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সংস্কার শুরু করা হবে।’

সর্বশেষ খবর