শিরোনাম
শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ফেরি ও লঞ্চ ঘাটের ইজারা নিয়ে দ্ধন্ধ, কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

লক্ষীপুর প্রতিনিধি

ফেরি ও লঞ্চ ঘাটের ইজারা নিয়ে দ্ধন্ধ, কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

লক্ষীপুরের মজুচৌধুরীর হাট ফেরি ও লঞ্চ ঘাটের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের দ্ধন্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর-লক্ষীপুর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক একেএম কায়সারুল ইসলাম। এতে ঘাট এলাকায় চলমান বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ পেল। ফলে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, লক্ষীপুর ফেরিঘাট এলাকার দুই কিলোমিটারের মালিকানা দাবি করে জেলা পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য ইজারা দেয়। গত বুধবার ইজারাদার ইসমাইল হোসেন পাঠানকে ঘাট দখল বুঝিয়ে দেয় জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এ সময় তার পক্ষে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুর জব্বার লাবলু ও রাকিব হোসেন লোটাসসহ অনেকে। অন্যদিকে গত ২৮ জুন চলতি অর্থবছরের জন্য ফেরি ঘাটের ইাজারা মূল্য ৫৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করে বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের চাঁদপুর কার্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইজারা নেন জনৈক শিমুল চক্রবর্তী। তার পক্ষে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নজরুল ইসলাম ভুলু, সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর, মাহমুদুন নবী সোহেল, যুবলীগ নেতা রুপম। এমন পরিস্থিতিতে ঘাট এলাকার দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম ঘাট এলাকা ইজারাদারকে বুঝিয়ে দিতে ঘটনাস্থলে আসেন।

সর্বশেষ খবর