রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতায় হুমকির মুখে বসতি

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

জলাবদ্ধতায় হুমকির মুখে বসতি

নওগাঁর রাণীনগরের একডালা গ্রামে মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বেশ কিছু ফসলি জমি অনাবাদিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও রাস্তার পাশে কয়েকটি বাড়ি-ঘর জলাবদ্ধতার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় দ্রুত মাঠের জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, উপজেলার একডালা গ্রামের স্কুলপাড়ার পূর্ব দিকে মাঠের কোণায় ৮-১০ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। সেখানে বর্ষাকালে জমে থাকা বৃষ্টির পানি ওই গ্রামের রাস্তার কালভার্টের মুখ দিয়ে নিষ্কাশন হতো। অনেক দিন আগে একডালা গ্রামের রাস্তার পাশে কয়েক জমি পর ওই গ্রামের দুই ব্যক্তি পুকুর খনন করে পুকুরপাড়ে বাগান তৈরি করেন। সেই সময়েও তাদের দুইজনের পুকুরের মাঝখানে ড্রেন দিয়ে ওই জমিগুলোর জলাবদ্ধতার পানি বের হয়ে যেত। কিন্তু সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ওই জায়গায় ফসলি জমিগুলো মাঝখানে রেখে ওই গ্রামের আরও তিনজন ব্যক্তি অপরিকল্পিত ভাবে ছোট বড় পুকুর ও ডোবা তৈরি করেছেন। এতে ডোবার পাড়ের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে জমির এক সাইটে রাস্তা আরেক সাইটে ছোট বড় পুকুর ও ডোবার কারণে ওই মাঠের কোণার জমিগুলোতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলি জমি অনাবাদি জমি হিসেবে পরিণত হয়েছে। এছাড়া মাঠে পানি বৃদ্ধির কারণে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন আশেপাশের বেশ কয়েকটি পরিবার। ফলে দ্রুত মাঠের জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। একডালা গ্রামের সাইদার রহমান, আবুল কালামসহ অনেকেই বলেন, মাঠের মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে ছোট বড় পুকুর ও ডোবা তৈরি করায় মাঠের জমিতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে অনেকের বাড়ির পাশের লাগানো গাছ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার বাড়ির খলিয়ান পর্যন্ত পানি উঠে যাচ্ছে। বড় বর্ষণ হলে পানি উঠে যে কোনো সময় বাড়ির ক্ষতি হতে পারে। আমরা বেশ কয়েকবার বলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। পুকুরের মালিক বলেন, ওই জমিগুলোর পানি আগে আমাদের পুকুরের পাশে অপর একটি পুকুরের পশ্চিম দিক দিয়ে নিষ্কাশন হতো। আমাদের দুজনের পুকুরের মাঝে পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেন ছিল না। পশ্চিম দিকে বাড়ির পাশের্^ আবার ছোট বড় কয়েকটি পুকুর ও ডোবা রয়েছে। সেখানে একজন ডোবার পাড় বেঁধে দেওয়ার কারণে হয়তো এই সমস্যা হচ্ছে। ডোবার মালিক সৌখিন উদ্দিন বলেন, আমি কোনো পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করিনি। মোজ্জাম্মেলই পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আমাকে জানিয়েছে। দ্রুত উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

সর্বশেষ খবর