নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দরপত্রের তিন বছরেও সংস্কার না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ভাঙা সড়কে জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। স্থানীয়রা ভাঙা সড়কে জাল ফেলে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রুত সড়কটি মেরামত করে দুর্ভোগ নিরসনের দাবি তাদের। স্থানীয়রা জানান, নাটোর-বাগাতিপাড়া প্রধান সড়কে বাগাতিপাড়া উপজেলা অংশের কসবে মালঞ্চি থেকে তমালতলা বাজার হয়ে হাজিপাড়া পর্যন্ত প্রায় পৌনে ২ কিলোমিটার অংশে বেহাল অবস্থা। তিন বছর আগে মালঞ্চি বাজার থেকে কসবে মালঞ্চি পর্যন্ত প্রশস্তকরণ ও সংস্কার করা হয়েছে। এরপর আর কোনো সংস্কার না হওয়ায় তমালতলা বাজার হয়ে হাজিপাড়া পর্যন্ত অংশ ভেঙে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও পিচ উঠে গিয়ে ইট-সুরকি পর্যন্ত নেই। তমালতলা মোড় বাজারের উত্তর মাথায় গভীর গর্তে পানি জমে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন। সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ছে হচ্ছে যানবাহন। জানা গেছে, তিন বছর আগে বাগাতিপাড়া ও সিংড়া উপজেলার পাঁচটি সড়ক একটি প্যাকেজের আওতায় প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ ও সংস্কারের টেন্ডার হয়। ওই প্যাকেজে বাগাতিপাড়ার সাইলকোনা থেকে মাধবাড়িয়া দেড় কিলোমিটার, জামনগর ভিতরভাগ-করমদোসি সড়কের ২ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ এবং নাটোর-বাগাতিপাড়া সড়কের কসবে মালঞ্চি থেকে তমালতলা বাজার হয়ে কালারা সেতু পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার সংস্কারের কথা ছিল।

অন্য দুটি কাজের ডব্লিউবিএমের কাজ করা হলেও নাটোর-বাগাতিপাড়া প্রধান সড়ক সংস্কার করা হয়নি। ওই সড়কটিতে তমালতলা বাজার এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় নতুনভাবে উঁচু করে সড়কটি সংস্কারে রিভাইজ প্রকল্প পাঠানো হয়। এটি এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় সড়কটির কাজ বন্ধ রয়েছে। তমালতলার সাইফুল জানান, বাগাতিপাড়ার পাকা, জামনগর, সদর ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষকে জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই প্রধান সড়ক ব্যবহার করতে হয়। তা ছাড়া জেলার সর্ববৃহৎ আমের আড়ত তমালতলা বাজার। আম পরিবহনের জন্য ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু সড়কটি নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, ‘প্যাকেজ প্রজেক্টের আওতায় বাগাতিপাড়ার তিনটি সড়কের মধ্যে দুটির কাজ চলছে। তবে এ সড়কটি আরসিসি করার প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন বরাবর পাঠানো হয়েছে। সে কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে।’