মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় থমকে আছে ঢাকা-বরিশাল চার লেন

২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করার নির্দেশনা ছিল। মেয়াদ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়নি

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় থমকে আছে ঢাকা-বরিশাল চার লেন

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় থমকে আছে ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল মহাসড়কের চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ করা হলে কমবে দুর্ঘটনা। উন্নত হবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান। কিন্ত এই দীর্ঘ দিনেও ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হয়নি। এতে করে থমকে আছে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই জাতীয় মহাসড়কের চার লেন নির্মাণ কাজ। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা অস্বীকার করে জেলা প্রশাসক জানালেন, চার লেনের কাজ চলছে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের  প্রথম ধাপে নির্মিত হয়েছে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে। চার লেনের সঙ্গে এ সড়কে যোগ হয় ধীরগতির যানবাহন চলাচলে দুই পাশে দুটি সার্ভিস লেন। কিন্তু দীর্ঘ এ সড়কের ফরিদপুর ভাঙার মোড় থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর-মাদারীপুরের রাজৈর, সদর উপজেলা ও কালকিনি উপজেলা হয়ে পটুয়াখালীর পর্যটন এলাকা কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের পুরোটাই সরু এবং বিভাজক না থাকায় ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। ধীর হয়ে যায় যানবাহনের গতি। ফলে এ সড়ক পাড়ি দিয়ে কুয়াকাটা পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লাগে। এ সমস্যার সমাধান এবং পদ্মা  সেতুর সুফল পেতে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত আধুনিক সড়ক নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালের শেষের দিকে শুরু হয় সড়ক নির্মাণের সমীক্ষার কাজ। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর একনেকে অনুমোদন পায় এই প্রকল্পটি। এই প্রকল্পে শুধু জমি অধিগ্রহণের জন্য ১ হাজার ৮৬৭ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ‘একনেক’। ২০২০ সালে ৩০ জুনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ শেষে সড়ক বিভাগকে জমি বুঝিয়ে দিলেই তারা টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে সড়কের নির্মাণ কাজ করতে পারবে। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভূমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায় থমকে আছে সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। এই মহাসড়কটির কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে। কমবে দুর্ঘটনা, পণ্য পরিবহন করা সহজ হবে। কুয়াকাটা থেকে মাছ বোঝাই করে ঢাকাগামী ট্রাকচালক মহিউদ্দিন বেপারী জানালেন, কুয়াকাটা হয়ে বরিশাল থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চার লেন হয়ে গেলে, আমরা খুব সহজে কম সময়ে গাড়ি চালাতে পারব। এতে দুর্ঘটনাও কমে যাবে। বরিশাল-ভাঙ্গা মহাসড়কটি দ্রুত চার লেন করার দাবি জানাচ্ছি। একই কথা বললেন, আরও বেশ কয়েকজন গাড়িচালক। এদিকে মাদারীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি ফায়জুল শরীফ বলেন, মহাসড়কটি দ্রুত চার লেন করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা একদমই কমে যাবে। মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য এম আর মুর্তজা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শুনে আসছি, ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কটি চার লেন হবে।

সর্বশেষ খবর