মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সোমেশ্বরীর ভাঙনের কবলে নেত্রকোনা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

সোমেশ্বরীর ভাঙনের কবলে নেত্রকোনা

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলার দুর্গাপুরের পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি কিছুটা কমলেও শুরু হয়েছে ভাঙন। আতঙ্কে এলাকাবসী। ইতিমধ্যে ভাঙনের কবলে শতাধিক পরিবার। ভাঙন ঠেকাতে এক বছর ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবোর কাজ চললেও তা ধীরগতি ও নিম্নমানের বলে দাবি এলাকাবাসীর। দুর্গাপুরের শিবগঞ্জ, ডাকুমারা, কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কামারখালী, বহেড়াতলী, বরইকান্দি, রানীখংসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন ভাঙন আতঙ্ক। যদিও এরই মধ্যে ভাঙনের কবল থেকে গ্রামগুলো রক্ষায় গত মার্চে ১ হাজার ৬৫০ মিটার জায়গা মেরামতে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করেছে জেলা পাউবো। এ ছাড়া প্রতি বছর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাজে আসেনি বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের বস্তা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাব, সেই সঙ্গে ধীরগতির ফলে কোনো উপকারে আসছে না পাউবোর উদ্যোগ। বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলীসহ অনেকের অভিযোগ, ১৫-২০ বছর ধরে এমন ভাঙনের কবলে তারা। কিন্তু প্রতি বছরই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জোড়াতালির কাজ করে। এসব কাজেও রয়েছে গড়িমসি। একটু একটু করে তারা টাকা হাতিয়ে নেয়। মানুষ ভোগান্তিতেই থাকে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, তাদের কাজ ভালোই হচ্ছে।

তবে করোনার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, জিও ব্যাগের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর অনুমোদন সাপেক্ষে তা ভাঙন স্থানে ফেলতে হয়। এর জন্য বিলম্ব হয়।

জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘গত বছর পানিসম্পদমন্ত্রী এসে এলাকা পরিদর্শন করে প্রায় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। জায়গা চিহ্নিত করেছি। ছয়টি প্যাকেজে ছয়টি পয়েন্টে কাজ হবে। বৃষ্টির আগেই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখন ভাঙনের জায়গাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে। এর জন্য বাড়তি বরাদ্দ চাওয়া হবে।’

 

সর্বশেষ খবর